04/11/2024
মাংস আহারের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা🙏
প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলির ওপর নতুন খোঁজের ফলে এটি জানা হল যে, দিন দিন বেড়ে যাওয়া মাংস আহারের প্রবৃত্তি ভূমিকম্প ও বন্যার জন্য দায়ী। আইনস্টাইন পেন ওয়েভস অনুসার মানুষের স্বাদের চাহিদা, বিশেষ করে মাংস আহারের অভ্যাসের কারণে প্রতিদিন মারা যাওয়া পশুদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সূজডল্ (রুসে) গত দিনগুলিতে ভুস্খলন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপরে হওয়া একটি সম্মেলনে ভারত থেকে যাওয়া ভৌতিকের তিনজন বৈজ্ঞানিক একটি গবেষণাপত্র পড়লেন। ডাক্তার মদনমোহন বাজাজ, ডাক্তার ইব্রাহিম এবং ডাক্তার বিজয় সিং সারাবিশ্বের ২৩ জনেরও বেশি বৈজ্ঞানিক দের দ্বারা তৈরি গবেষণা পত্রকে আধার করে বলা হয় যে, ভারত, জাপান, নেপাল আমেরিকা, আফগানিস্তান, আফ্রিকায় গত দিন গুলিতে ৩০টি বড় ভূমিকম্পের Einstein Pain Waves (EPW) বা নোরোপ্সনের বড় কারণ ছিল।
এই তরঙ্গ গুলির ব্যাখ্যা এটাই করা হল যে, কসাইখানা গুলিতে যখন পশু কাটা হয় তখন তাদের আর্তনাদ, ছটফটানি, যন্ত্রণা পরিবেশে ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ না তার মাংস- রক্ত- চামড়া সম্পূর্ণভাবে নষ্ট না হয়ে যায়। সেই জীবের আর্তনাদ থেকে গোটা পরিবেশে ভয় রোগ ও ক্রোধ উৎপন্ন করে। এমনটি বলা যায় যে প্রকৃতি নিজের সন্তানদের পীড়া দ্বারা বিচলিত হয়ে যায়। এই অধ্যায়নে বলা হয়েছে যে প্রকৃতি যখন বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে যায় তখন মানুষ নিজেদের মধ্যেও লড়াই ঝগড়া মারপিট ও অসহিষ্ণু স্বভাব যুক্ত হয়ে যায়। এবং বিভিন্ন দেশে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। কেবল স্বাদের জন্য নিরপরাধ জীবজন্তুদের হত্যা এই ধরনের দাঙ্গার কারণ হয় এবং কখনও কখনও আত্মহত্যারও কারণ হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উৎপাতের মত অজ্ঞাত রোগগুলি, হার্ট অটেক, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, বন্যা, জ্বালামুখীর বিষ্ফোটের মতো সংকট আসে। এই
অধ্যায়ন অনুসার একটি কসাইখানা থেকে যেখানে গড়ে ৫০টি পশু মারা হয় সেখানে ১০৪০ মেগাওয়াট উৎপাদনকারী ইপি ডব্লিউ উৎপন্ন হয়। বিশ্বের প্রায় ৫০ লক্ষ ছোট-বড় কসাইখানায় প্রতিদিন ৫০ লক্ষ কোটি মেগাওয়াটের মারক ক্ষমতা যুক্ত শোক তরঙ্গ EPW উত্পন্ন হয়।
বিশ্বের প্রায় ৭০০ জনের বেশি
বিজ্ঞানীদের সঙ্গে অনেক ডাক্তারদের সম্মেলনে মানা হয়েছে যে, প্রকৃতি কোন লাঠি নিয়ে এই তরঙ্গগুলির অপরাধীদের শাস্তি দিতে আসে না। তার এক ঠান্ডা শ্বাসই যথেষ্ট পৃথিবীর ওপরে থাকা জীবদেরকে কাঁপিয়ে তুলতে।
কসাইখানায় জানোয়ারদেরকে খুব নির্দয়তার সাথে হত্যা করা হয়। খুব হিংসা হয়। খুব অত্যাচার হয়। পশুদের হত্যার সময়ে তাদের যে চিৎকার বেরায়, তাদের শরীর থেকে যে স্ট্রেস হরমোন বেরায় এবং তাদের যে শোক ওয়েব বেরায়, তা গোটা বিশ্বকে তরঙ্গিত করে দেয়। কম্পায়মান করে দেয়। পরীক্ষার সময়ে ল্যাবরেটরীতেও জানোয়ারদের উপর এই ভাবেই বীভৎস অত্যাচার হয়।
জানোয়ারদেরকে যখন কাটা হয় তখন অনেকদিন পর্যন্ত তাদের ক্ষুধায় রাখা হয় ও দুর্বল করা হয়। তারপর তাদের উপরে ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড গরম জলের স্প্রে করা হয়। তাতে তাদের শরীর ফোলা শুরু হয়ে যায়। যখন গরু, মহিষ, ছাগল যন্ত্রণায় ছটফট করে, আর্তনাদ করে, তখন তাদের চামড়া তোলা হয়। এবং রক্তকেও একত্রিত করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে গলা কাটা হয়। এক এক অঙ্গ আলাদা আলাদা ভাবে কেটে বের করা হয়।
আজ আধুনিক বিজ্ঞান এটি প্রমাণ করেছে যে, মরার সময় জানোয়ার হোক বা মানুষ হোক যদি তাদেরকে, বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে নির্দয়তা পূর্বক হত্যা করা হয়, তবে তাদের শরীর থেকে বেরোনো যে চিৎকার, ছটফটানি, আর্তনাদ হয়; তার ভাইব্রেশন থেকে যে নেগেটিভ ওয়েব বের হয় তা; সম্পূর্ণ পরিবেশকে খারাপ ভাবে প্রভাবিত করে। এবং তা থেকে সমস্ত মানুষদের ওপরে নকারাত্মক প্রভাব পড়ে। বিশেষভাবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব তাদের ওপরে পড়ে যারা তাদের মাংস খায়। এবং এই দুষ্প্রভাব একবার খাওয়ার পরে কমপক্ষে ১৮ মাস পর্যন্ত থাকে। বড় ব্যাপার এটাই যে মাংস ভোগীদের পরিজন বেশি দুঃখগ্রস্ত ও ভয়ঙ্কর রোগে পীড়িত হয়। ফলে মানুষের মধ্যে চুরি করা, অপশব্দ বলা, অন্যের ধন হরণ করা, অত্যন্ত ক্রোধ ও হিংসা করার প্রবৃত্তি বেড়ে যায়; যা গোটা বিশ্বে অত্যাচার ও পাপ বাড়াচ্ছে।
আফ্রিকার দুইজন প্রফেসর, দুইজন জাপানের, দুইজন আমেরিকার, একজন ভারতীয় মদনমোহন এবং চারজন জার্মানের বৈজ্ঞানিকগণ, হেড মার্ক ফিষ্টন্, ডেবিট থামস্ , জুনস্ আব্রাহাম ও ক্রিওইবোঁদ ফিলিপের সঙ্গে কুড়ি বছর এই বিষয়ে রিসার্চ করেছেন এবং তাদের রিসার্চ' এটাই বলে যে জানোয়ারদের যত বেশি হত্যা হবে ততোই অধিক বিশ্বে ভূকম্প, সুনামি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে। ততই বিশ্বের সন্তুলন খারাপ হবে। এবং লোক দুশ্চিন্তা যুক্ত ও হার্ট অ্যাটাক দ্বারা পীড়িত হবে।
------- সূর্য়ানন্দ সরস্বতী ( সংগৃহীত)