
29/09/2025
গাজীপুর মহানগর এর কোনাবাড়ী থানার একজন সৎ ও সাহসী নেতা মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন।
———————————————
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি মেট্রো থানার অন্তর্ভুক্ত ১০ নং ওয়ার্ড আমবাগ গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন। তাহার পিতা মৃত মোক্তার আলী কোনাবাড়ির প্রথম দিকের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে অত্র অঞ্চলের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঘিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গ্রাম সরকারের প্রধান হিসেবেও অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন ও সাভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন। এবং তাহার মাতাও বাঘিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে শিক্ষকতা করেন এবং পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন জনকল্যাণ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। কোনাবাড়ি ইউনিয়ন স্বনির্ভর মহিলা কমিটির সভাপতি ও গাজীপুর জেলা মহিলা শিক্ষক সমিতির সহ সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন । মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন ছাত্রজীবনে মেধার স্বাক্ষর রেখে রসায়নে সম্মান সহ বি এস সি ও এম এস সি, মার্কেটিং এ এম, বিএ সম্পন্ন করেন। রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয় গাজীপুরের মা মাটি ও মানুষের নেতা, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র, মজলুম জননেতা মরহুম অধ্যাপক এম, এ মান্নান স্যারের হাতেই। এম, এ মান্নান স্যারের নিজের হাতে গড়া অকুতোভয় ও লড়াকু এই জিয়ার আদর্শীক সৈনিক মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন হলে অনেকেই তখন বিএনপির নাম নিতে ভয় পেতেন। সেই সময় গাজীপুর জেলায় প্রথম কোন রাজনৈতিক দলের সম্মেলনের আয়োজন হয় সেটা ছিল কোনাবাড়ি ইউনিয়ন ছাএদলের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম এ মান্নান স্যার ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো: মনির হোসেন ভাইর। তার রাজনৈতিক ব্যস্ততায় তার প্রতিনিধিত্ব করেন রোকেয়া হলের তৎকালীন ছাএদলের সভানেত্রী রেহেনা আক্তার রানু আপা। কোন ইউনিয়ন পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধিত্ব এই প্রথম। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যৌথ উপস্থিতির মাধ্যমে সভাপতির দায়িত্ব পান মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন।
গোলাপবাগে বিভাগীয় সমাবেশের ছবি
শিক্ষা জীবন শেষে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে মেধার স্বাক্ষর রাখলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি চাকরি পাননি।
তার সুদক্ষ নেতৃত্বের জন্য ছাএদলের দলের ব্যানারে অনেক সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন নতুন নতুন কর্মী সংগ্রহের জন্য ।
তিনি কোনাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর সদর থানা বিএনপির সাবেক সহ- দপ্তর সম্পাদক, কোনাবাড়ি মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ও বর্তমান গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের যুগ্ন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলার হুলিয়া নিয়েও সাংগঠনিক কার্যক্রম দৃঢ়তার সাথে পালন করেছেন। তাঁর মত একজন ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ খুঁজে পাওয়া বর্তমান যুগে দুস্কর। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, কর্মী বান্ধব, জনদরদী, গরিবের বন্ধু হিসেবে এলাকায় সমাদৃত। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা আরও জানাই গেছে, জীবনের তিনি কখনো সমাজবিরোধী কোন কর্মকান্ড করেননি,
তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সাথেও সম্পৃক্ত হন। তার মধ্যে কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ ও কোনাবাড়ি ক্যামব্রিজ কলেজ অন্যতম।
মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন যেমন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন, ঠিক তেমনি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
এবং শিক্ষানুরাগী হিসেবে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়, কোনাবাড়ি ডিগ্রী কলেজের একজন আজীবন দাতা ও কোনাবাড়ি ক্যামব্রিজ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
কোনাবাড়ি মেট্রো থানার প্রাণ হিসেবে তিনি সর্বমহলে গৃহীত। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। এমন একজন নিঃস্বার্থ জিয়ার আদর্শীক সৈনিক বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সমাজ কে দুর্নীতি মুক্ত, মাদক মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করতে খুবই জরুরী। মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন এক দিনে তৈরী হয়নি। দিনের পর দিন রাজপথে লড়ে গিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে। এলাকাবাসীর দাবি এই মানুষ টাকে যেন যথাযত মূল্যায়ন করা হয়। কখনো পদ না পেলেও যারা পদ পেয়েছেন তাদের কাঁধে কাঁধ রেখে দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে জিয়ার আদর্শ বুকে নিয়ে মাঠে, ঘাটে – রাজপথে সমান ভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হাত কে শক্তিশালী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন। মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুন শুধু একটি নাম নয় একটি রাজনৈতিক আদর্শ ও সমাজ উন্নয়নের এক মহাকারিগর।
জিয়ার আদর্শের প্রতীক।তার নেতৃত্বের কারনে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় তার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। বিএনপির কাছে তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি ও এলাকাবাসীর দাবি এই লোককে মূল্যায়ন করা হলে আমাদের সমাজের উন্নয়ন অবশ্যই হবে সাথে সাথে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। বর্তমান সময়ের জেন – জির আকাঙ্খা পূরণে মুহাম্মদ খায়রুল হাসান মামুনের বিকল্প গাজীপুর তথা গাজীপুর ১ আসনে খুঁজে পাওয়া যাবে না।