30/05/2025
উপযুক্ত বয়সে বিবাহের উপকারিতা
বিবাহ মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু দুটি মানুষের সম্পর্ক নয়, বরং একটি নতুন পরিবারের সূচনা। উপযুক্ত বয়সে বিবাহ সম্পাদন ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য নানা দিক থেকে উপকারী।
১. শারীরিক ও মানসিক পরিপক্বতা
উপযুক্ত বয়সে বিবাহের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক পরিপক্বতা অর্জিত হয়। বাংলাদেশে সাধারণত ছেলেদের জন্য ২৫-৩০ বছর এবং মেয়েদের জন্য ২৩-২৮ বছর বয়স বিবাহের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয় । এই সময়ে ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ ও মানসিকভাবে পরিণত থাকে, যা দাম্পত্য জীবনে স্থিতিশীলতা আনে।
২. আর্থিক স্বচ্ছলতা ও দায়িত্ববোধ
উপযুক্ত বয়সে বিবাহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আর্থিক স্বচ্ছলতা। এই সময়ে ব্যক্তি সাধারণত শিক্ষা সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে, যা পরিবার পরিচালনায় সহায়ক হয় । এছাড়া, দায়িত্ববোধ ও আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৩. দাম্পত্য জীবনে স্থিতিশীলতা
গবেষণায় দেখা গেছে, ২৮ থেকে ৩২ বছর বয়সে বিবাহ করলে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম থাকে । এই বয়সে ব্যক্তি জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সক্ষম হয় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নত হয়।
৪. সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামে বিবাহকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাদিসে বলা হয়েছে: "হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করতে সক্ষম, তারা যেন বিবাহ করে নেয়।" । উপযুক্ত বয়সে বিবাহ সমাজে নৈতিকতা রক্ষা করে এবং অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে।
৫. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতা
উপযুক্ত বয়সে বিবাহের মাধ্যমে সুস্থ সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কম বয়সে বিবাহ করলে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুর সুস্থতায় ঝুঁকি থাকে, যা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয় ।
উপসংহার
উপযুক্ত বয়সে বিবাহ ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য কল্যাণকর। এটি শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আনে। তাই, বিবাহের সময় নির্ধারণে এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
---