Sororitu Tv

Sororitu Tv Well come to the Sororitu Tv Facebook fanpage. you will find our fan page unknown news & story,educa

24/07/2025

#মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

22/07/2025

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫
সময়--১:১২ মিনিট

আমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনান
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি হয় দুপুর ১ টায়।।
আজকে আমার পরীক্ষার ডিউটি ছিল চার নং ভবনের 804 নম্বর রুমে। বেলা একটায় পরীক্ষা ডিউটি শেষ করে ছেলের ভবনের সামনে যাব হঠাৎ মনে হল রেস্ট নেই ও নিজেই চলে আসবে আমার টিচার্স রুমেপ্রতিদিনের মতো।
আমি টিচার্স রুমে রেস্ট নিচ্ছি তখন দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে আমার ছেলের ফর্ম মাস্টার বাবুল স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বললেন -ম্যাডাম আজকের সিনানের ছুটি হবে ১ টা 40 মিনিটে ।আমি বললাম ক্লাস শেষ হলে৭ নং ভবনের দোতালায় পাঠিয়ে দিবেন টিচার্স রুমে। আমি ওকে স্যার বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। সাথে সাথে বোম ব্রাস্ট হওয়ার মত একটা সাউন্ড হইল --আমি মাঠের পাশে টিচার্স রুম থেকে দেখতে পেলাম আমার ছেলের ভবনের সামনে আগুন।
আমার টিচার্স রুমে আমার সামনে আমার একজন সিনিয়র সহকর্মী জনাব এজাজ মাসুদ স্যার বসা ছিলেন। আমি এক চিৎকারে বললাম স্যার আমার ছেলের ভবনে তো আগুন লাগছে।
উনার ছেলে ওই ভবনেই পড়ে কোন কারণে সে আজকে আসে নাই।
আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি স্যার আমাকে বলছেন দোয়া করেন আল্লাহকে ডাকেন। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হাজব্যান্ড কে ফোন দিয়ে বলেছি আমার ছেলের ভবনে আগুন লাগছে।
যেখানে আগুন লাগছে সেখানে গিয়ে দেখি তিনটা গলিত লাশ। শুধু আইডি কার্ড টা পড়ে আছে।
একটা বাচ্চার গায়ে কাপড় নাই পুরো শরীর ঝলসে গেছে।
সামনে গিয়ে দেখি যে ভবনে আমার ছেলে ক্লাস করে যেই রুমে আমার ছেলে ক্লাস করে সেই রুমের চারদিকে ধোঁয়া।
ছেলের ক্লাসরুমে আগুন আমি বাইরে থেকে কি বুঝবো তাই ক্লাসে ঢুকতে চাইলাম। সেনাবাহিনীর দুইজন আর আমার কলেজের বিএনসিসি ছাত্ররা আমাকে ঢুকতে দিলো না ---
আমি বারবার ঢুকতে চাইলাম জোর করে ঢুকতে চাইলাম আমাকে বাধা দিল দুজন আমাকে জোর করে এক পাশে নিয়ে গেল। আমি ডানপাশে ঘুরেই দেখি আমার ছেলের ফোন মাস্টার বাবুল স্যার।
জিজ্ঞেস করলাম স্যার আপনি এখানে আমার ছেলে কই???
শুধু হাতটা ধরে বলল ওরা উপরে দুই তালায়।
বিশ্বাস করলাম না তারপর আমার একজন ছাত্র এসে বলল ম্যাডাম কিছু হয় নাই এই পাশে আসেন। ক্যান্টিনের পাশে উপরে ৭ থেকে আটজন মেয়ে বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছিল। আমি আল্লাহর কাছে কি দোয়া পড়ছিলাম আমার কিছুই মনে নাই।
আমার বিভাগের আমার একজন সহকর্মী মুকুল স্যার এর ভাগ্নিও ঐ ভবনে আটকা পড়ছেন। সে পাশ থেকে ওপার দৌড়াচ্ছেন আর চিৎকার করতেছেন।
আমাকে দুইজন সেনাবাহিনী বসায় দিয়ে ধরে রাখলেন একপাশ থেকে। যেন আমি সামনে না যাই।
তারপর দোতলার সামনে গাছ ছিল আম গাছ কেটে ফেলা হলো।
গ্রিলের তালা ভাঙ্গা হলো একপাশ ভেঙে ফেলা হলো।
আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি কিছু ছাত্রী গ্রিলের নিচ দিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসছে।
৮ থেকে ১০ জন ছাত্রী এবং একজন ম্যাডাম বের হওয়ার পর হঠাৎ আমার ছেলের চেহারা ভেসে উঠলো।
ওই মুহূর্তটা একজন মায়ের জন্য কি মুহূর্ত সেটা বলে বোঝানো যাবে না লিখেও শেষ করা যাবে না।
মুকুল স্যার যদি পারতো তাকে দোতলা থেকেই টেনে বের করত।আমার ছেলেকে দেখার সাথে সাথে সে দৌড়ে গিয়ে জড়ায় ধরছে বাবা রে তুই তাড়াতাড়ি আয়।
আমার মানিককে আমার সন্তানকে আমি জড়াইয়া ধরলাম।

যারা আমার ছেলের ক্লাসে আটকে ছিল তারা কেউ বেঁচে ফিরে নাই। সবাই পুরে কয়লা হয়ে গেছে।

একজন মা বলতেছিল বাবারে তুই আজকে আমার হাতের শেষ খাওয়াটা খাইয়া গেলি বাবা --আমি তো তোরে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।

মূলত বিমান ক্রাশ হয়ে ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকে গেছে।
বিমান ক্রাশ হওয়ার সাথে সাথেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই যা ধ্বংস হওয়ার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
যাতে শরীর পুড়ে গেছে তাদেরকে বাঁচানো খুবই অসম্ভব খুব খারাপভাবে শরীর পুড়ে গেছে।
এত কাছ থেকে কখনো দেখিনি। এত ভয়ঙ্কর!!

আমি রাত আটটা দশ মিনিটে সেই দুর্ঘটনাস্থলে আবার যাই।আমার ফরমের দুইটা মেয়ে অসুস্থ তাদেরকে দেখার জন্য।
সেই ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় বিজিবির একজন সদস্য নাম মাসুদ , তিনি ফোনে কাউকে বলছিলেন আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে কিন্তু কয়েকটি পুড়ে যাওয়া খন্ড বিখন্ড অংশ।
হে রাব্বুল আলামিন, রাহমানুর রাহিম তুমি উত্তম পরিকল্পনাকারী --শিশুদের এমন মৃত্যু তুমি দিয়েছো বাবা মা তাদের গলে যাওয়া লাশের শেষ চিহ্নটুকু দেখতে পাবেনা।

তাসলিমা আকতার
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
মাইলস্টোন কলেজ
২১/০৭/২০২৫, সোমবার

অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, "বাবা দে...
21/07/2025

অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, "বাবা দেখো, সুমন আজ ব্রাণ্ডেড ঘড়ি পরে এসেছে। বাবা দেখো, রাজুর স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেড। সুন্দর না বাবা!"

আমি চুপ করে থাকতাম। আমার ছেলের সাহস হয়নি কখনোই আমার কাছে ওই জিনিসগুলো চাওয়ার। একদিন ও খেলতে খেলতে পায়ে ব্যথা পেল। পরদিন স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে বলল, "বাবা, আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে করে স্কুলে নামিয়ে দেবে?"

আমি ওর অবস্থা দেখে বললাম, "ঠিক আছে।"

এরপর সপ্তাহখানেক ও আমার সাথেই গেল — আমার অফিসের গাড়িতে। আমি ওকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিতাম। এরপর থেকে ছেলের আর স্কুলে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে না! বাধ্য হয়ে আমি বলেই দিলাম, "অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ। স্কুল টাইমের খানিকক্ষণ আগে বের হবে, তাহলে সময়মতো পৌঁছে যাবে।"

ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইল। ছেলের মায়েরও মুখ গোমড়া। আমি এমন করি কেন? সবাই তো অফিসের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। তাহলে আমার সমস্যা কোথায়?

সেদিন সন্ধ্যায় ছেলে বাড়িতে এসে বলল, "জানো, আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও.....।"

এর বেশি কিছু বলার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম, "বাবা, প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমাকে সেই স্কুলে দিলাম, কিন্তু তুমি ফেল করলে। তাহলে আমি কি বলব, তুমি ফেল নাকি তোমার স্কুল?"

ছেলে বলল, "বুঝেছি বাবা!"

আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, "এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। বরাবর তুমিই ফার্স্ট হয়েছ। সুতরাং, তুমি যেখানে পড়বে, সেই স্কুলই শহরের সেরা স্কুল।"

এরপর সে আর কিছু বলেনি।

এক বিকেলে ছেলে বলল, "বাবা, আমার এক্সট্রা টিউটর দরকার। ম্যাথ আর ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে।"

জবাবে আমি বললাম, "রাতে যখন আমি বাড়িতে ফিরব, আমার কাছেই তুমি ম্যাথ আর ইংলিশ শিখবে।"

ছেলে বলল, "বাবা, তুমি অনেক পরিশ্রম করে বাড়িতে আসো, তাইনা?"

আমি হেসে বললাম, "বাবা, আমার এত সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি, কি বলো?"

ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "ঠিক আছে বাবা।"

আমার স্ত্রী রাতে ঘুমাতে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো, তাহলে ছেলেকে ওই কথাগুলো বললে কেন?

আমি বললাম, "আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটা শিখুক।"

আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেল।

মাঝে মাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সম্পর্কে ধারণা দিই। সে জানুক, পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর, বাস্তবে খুব কঠিন! চাওয়া মাত্রই কিছু তাকে আমি কখনও দেই না। একদিন সে বলেছিল, "বাবা, তুমি এরকম কেন?" আমি জবাব দিয়েছিলাম, "সময় হলে বুঝবে!"

একবার সে বায়না ধরল ইলিশ মাছ খাবে। আমি বললাম, "টাকা তো কম! তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে।"

ছেলে আমার হাতে পঞ্চাশটা দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম, "তুমি খরচ করনি!" সে মুচকি হেসে বলল, "না বাবা! জমিয়েছি। আমার এক বন্ধু মাঝে মাঝে স্কুলে না খেয়ে আসে। আসলে ও খুব অসহায়। আমি ওকে ক্ষুধার্ত দেখলেই বুঝতে পারি। তখন ওকে সাথে নিয়ে খাই। অন্যান্য দিন সব টাকা খরচ করি না, জমিয়ে রাখি, কারণ বাড়ি থেকে তোমরা যা দাও তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু মানুষ তো সামান্যটুকুও পায় না!"

আমি ছেলের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সেই জমানো টাকা দিয়ে সেদিন বাজার থেকে ইলিশ এনে ছেলেকে খাওয়ালাম। এভাবে ইচ্ছে করেই মাঝে মাঝে ছেলেকে অভাব অনুভব করাতাম, যাতে সে বোঝে জীবনটা কঠিন, অনেক কঠিন।

একবার মার্কেটে গিয়ে তাকে বললাম সাধ্যের মধ্যে কিনতে। সে একটা প্যান্ট নিল শুধু। আর কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলল, "তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নাও।"

আমি হাসলাম।

সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়। একদিন সন্ধ্যায় আমি চা খাচ্ছিলাম। ও বলল, "বাবা, সায়নটা আর মানুষ হলো না! অথচ আংকেল ওর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে।" আমি ছেলেকে বললাম, "আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি!" ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বলল, "প্রতিটা চাহিদা পূরণ না করে তুমি শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনে যে শিক্ষা দিয়েছ, তা সবকিছুর উর্ধ্বে। তুমি শিখিয়েছ, অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখন জানি, আমার বাবার আমি ছাড়া আর কিছু নেই। বাকিটা আমাকে গড়ে নিতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না। কারণ আমি জানি আমি কে! তোমার দেওয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখব বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিনের টাকা জমালে পাঁচশো টাকা হয়। তুমি ছিলে বলেই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কত কঠিন!"

আমার স্ত্রী এখন নিজে থেকেই অনেক খুশি। সে বুঝতে পেরেছে আমার উদ্দেশ্যটা। ছেলে নিজের রোজগারে প্রাইভেট কার কিনে আমাকে হাসতে হাসতে বলল, "দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে কিনেছি এটা!" তখন বুঝেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। আমার শিক্ষা বৃথা যায়নি।

সেদিন যাবতীয় সম্পত্তি ওকে বুঝিয়ে দিয়ে বললাম, "সামলে রেখো।" ছেলে দলিলগুলো আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলল, "তোমরা সাথে থেকো, আর কিছু লাগবে না।"

ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছেলের মাকে বললাম, "দেখেছ, আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি — যেমনটা আমার বাবা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি ওকে অভাবে লজ্জিত হওয়া নয়, বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি। ওকে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছি, কারো উপর নির্ভর না করে চলতে শিখিয়েছি। ছেলে আমার মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কি হতে পারে!"
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

18/07/2025

অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, "বাবা দেখো, সুমন আজ ব্রাণ্ডেড ঘড়ি পরে এসেছে। বাবা দেখো, রাজুর স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেড। সুন্দর না বাবা!"

আমি চুপ করে থাকতাম। আমার ছেলের সাহস হয়নি কখনোই আমার কাছে ওই জিনিসগুলো চাওয়ার। একদিন ও খেলতে খেলতে পায়ে ব্যথা পেল। পরদিন স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে বলল, "বাবা, আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে করে স্কুলে নামিয়ে দেবে?"

আমি ওর অবস্থা দেখে বললাম, "ঠিক আছে।"

এরপর সপ্তাহখানেক ও আমার সাথেই গেল — আমার অফিসের গাড়িতে। আমি ওকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিতাম। এরপর থেকে ছেলের আর স্কুলে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে না! বাধ্য হয়ে আমি বলেই দিলাম, "অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ। স্কুল টাইমের খানিকক্ষণ আগে বের হবে, তাহলে সময়মতো পৌঁছে যাবে।"

ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইল। ছেলের মায়েরও মুখ গোমড়া। আমি এমন করি কেন? সবাই তো অফিসের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। তাহলে আমার সমস্যা কোথায়?

সেদিন সন্ধ্যায় ছেলে বাড়িতে এসে বলল, "জানো, আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও.....।"

এর বেশি কিছু বলার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম, "বাবা, প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমাকে সেই স্কুলে দিলাম, কিন্তু তুমি ফেল করলে। তাহলে আমি কি বলব, তুমি ফেল নাকি তোমার স্কুল?"

ছেলে বলল, "বুঝেছি বাবা!"

আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, "এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। বরাবর তুমিই ফার্স্ট হয়েছ। সুতরাং, তুমি যেখানে পড়বে, সেই স্কুলই শহরের সেরা স্কুল।"

এরপর সে আর কিছু বলেনি।

এক বিকেলে ছেলে বলল, "বাবা, আমার এক্সট্রা টিউটর দরকার। ম্যাথ আর ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে।"

জবাবে আমি বললাম, "রাতে যখন আমি বাড়িতে ফিরব, আমার কাছেই তুমি ম্যাথ আর ইংলিশ শিখবে।"

ছেলে বলল, "বাবা, তুমি অনেক পরিশ্রম করে বাড়িতে আসো, তাইনা?"

আমি হেসে বললাম, "বাবা, আমার এত সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি, কি বলো?"

ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "ঠিক আছে বাবা।"

আমার স্ত্রী রাতে ঘুমাতে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো, তাহলে ছেলেকে ওই কথাগুলো বললে কেন?

আমি বললাম, "আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটা শিখুক।"

আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেল।

মাঝে মাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সম্পর্কে ধারণা দিই। সে জানুক, পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর, বাস্তবে খুব কঠিন! চাওয়া মাত্রই কিছু তাকে আমি কখনও দেই না। একদিন সে বলেছিল, "বাবা, তুমি এরকম কেন?" আমি জবাব দিয়েছিলাম, "সময় হলে বুঝবে!"

একবার সে বায়না ধরল ইলিশ মাছ খাবে। আমি বললাম, "টাকা তো কম! তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে।"

ছেলে আমার হাতে পঞ্চাশটা দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম, "তুমি খরচ করনি!" সে মুচকি হেসে বলল, "না বাবা! জমিয়েছি। আমার এক বন্ধু মাঝে মাঝে স্কুলে না খেয়ে আসে। আসলে ও খুব অসহায়। আমি ওকে ক্ষুধার্ত দেখলেই বুঝতে পারি। তখন ওকে সাথে নিয়ে খাই। অন্যান্য দিন সব টাকা খরচ করি না, জমিয়ে রাখি, কারণ বাড়ি থেকে তোমরা যা দাও তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু মানুষ তো সামান্যটুকুও পায় না!"

আমি ছেলের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সেই জমানো টাকা দিয়ে সেদিন বাজার থেকে ইলিশ এনে ছেলেকে খাওয়ালাম। এভাবে ইচ্ছে করেই মাঝে মাঝে ছেলেকে অভাব অনুভব করাতাম, যাতে সে বোঝে জীবনটা কঠিন, অনেক কঠিন।

একবার মার্কেটে গিয়ে তাকে বললাম সাধ্যের মধ্যে কিনতে। সে একটা প্যান্ট নিল শুধু। আর কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলল, "তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নাও।"

আমি হাসলাম।

সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়। একদিন সন্ধ্যায় আমি চা খাচ্ছিলাম। ও বলল, "বাবা, সায়নটা আর মানুষ হলো না! অথচ আংকেল ওর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে।" আমি ছেলেকে বললাম, "আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি!" ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বলল, "প্রতিটা চাহিদা পূরণ না করে তুমি শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনে যে শিক্ষা দিয়েছ, তা সবকিছুর উর্ধ্বে। তুমি শিখিয়েছ, অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখন জানি, আমার বাবার আমি ছাড়া আর কিছু নেই। বাকিটা আমাকে গড়ে নিতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না। কারণ আমি জানি আমি কে! তোমার দেওয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখব বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিনের টাকা জমালে পাঁচশো টাকা হয়। তুমি ছিলে বলেই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কত কঠিন!"

আমার স্ত্রী এখন নিজে থেকেই অনেক খুশি। সে বুঝতে পেরেছে আমার উদ্দেশ্যটা। ছেলে নিজের রোজগারে প্রাইভেট কার কিনে আমাকে হাসতে হাসতে বলল, "দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে কিনেছি এটা!" তখন বুঝেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। আমার শিক্ষা বৃথা যায়নি।

সেদিন যাবতীয় সম্পত্তি ওকে বুঝিয়ে দিয়ে বললাম, "সামলে রেখো।" ছেলে দলিলগুলো আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলল, "তোমরা সাথে থেকো, আর কিছু লাগবে না।"

ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছেলের মাকে বললাম, "দেখেছ, আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি — যেমনটা আমার বাবা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি ওকে অভাবে লজ্জিত হওয়া নয়, বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি। ওকে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছি, কারো উপর নির্ভর না করে চলতে শিখিয়েছি। ছেলে আমার মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কি হতে পারে!"

29/03/2025

‎বিশেষজ্ঞদের মতে , বাংলাদেশ শীঘ্রই বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে ।

‎মায়ানমারে আজ যে ভূমিকম্প হয় তার মাত্রা ছিলো ৭.৭ মাত্রার । একইসাথে ৮.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে থাইল্যান্ডেও ।

‎বহুতল ভবন ধসে পড়ে গেছে । রাস্তা উপড়ে গেছে । সেতু ভেঙে গেছে । অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতো ।

‎আজ বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয় তার মাত্রা ৪.৫, উৎপত্তিস্থল মায়ানমার । ঢাকা থেকে মাত্র ৫৯৭ কি.মি দূরে ।

‎বিশেষজ্ঞদের মতে , কোনো একটি ভৌগলিক পরিমন্ডলে বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে ছোটো ছোটো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।

‎২০১৭ সালে বাংলাদেশে ও এর কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয় । ২০২৩ সালে এর সংখ্যা ছিল ৪১।

‎২০২৪ সালে তা বেড়ে পৌঁছে যায় ৫৪তে....

‎প্রতি বছর ছোট ছোট ভূমিকম্পের সংখ্যা বাড়ছে ।

‎বাংলাদেশের এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিলো ১৯১৮ সালে । রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮। এতে মারা যায় প্রায় দেড়লাখ মানুষ ।

‎ভূতাত্ত্বিকদের মতে , একটা বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ১০০ বছর পর আবার ঐ দেশটিতে বড়মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

‎১৯১৮ এর পর ১০০ বছর পার হয়ে গেছে ।

‎এখন ২০২৫ !

‎ইন্ডিয়ান, ইউরোশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান বলে যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে ।

‎সকাল, দুপর , মাঝরাত যে কোনো সময় আপনারে আশ্রয় দেওয়া ভবন আপনার শরীরের উপর ধসে পড়তে পারে ।

‎ঢাকায় যদি ৭ মাত্রারও একটি ভূমিকম্প হয়, তবে ৭২,০০০ ভবন ধসে পড়বে । ঢাকায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বাস ।

‎আল্লাহ না করুন, যদি এরকম ঘুমন্ত অবস্থায় ভোরে অথবা মাঝরাতে ভূমিকম্প হয়, ঢাকা শহর পুরোটাই মৃত্যু নগরীতে পরিণত হবে ।

বাড়িঘর ধূলোয় মিশেযাবে। ‎ফ্লাইওভার-ব্রিজ ভেঙে পড়বে। বিদ্যুৎ গ্যাস লাইনে আগুন ধরে যাবে। পানির লাইন ফেটে পড়বে ।

‎সিলেট , কক্সবাজার , চট্টগ্রাম ও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।

‎আল্লাহ না করুক, এসব না ঘটুক । অসংখ্য লাশ বুকে নিয়ে না হয় যুদ্ধ ছাড়াই ট্রয় নগরীর মতো পুড়তে হবে নগরকে, দেশকে।

‎অতীতে সাভারে শুধুমাত্র একটা ভবন ধসে পড়ায় তার থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সরকারের লেগেছিলো ৭ দিন ।

‎ঢাকায় যদি ৭২০০০ ভবন একদিনে ভেঙে পড়ে, কি হবে বাকিটা বুঝে নিন ।

‎একবার চোখ বন্ধ করে সবটা কল্পনা করতে গেলেও শিউরে উঠতে হয়।

‎তাহলে ভরসা? আমাদের বেশি বেশি আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত...

‎আমরাই বোধহয় মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যারা মৃত্যু ( একদিন তো মরে যাবো) নিয়ে ট্রল করেছিলাম ।

আমরা ‎ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে এসে ভূমিকম্প নিয়ে ট্রল করি । হাসি তামাশা করি ।

‎বছর ঘুরে বর্ষায় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হয় প্রত্যেকবার।

‎যারা উপকূল হতে দূরে, নগরে, সেফজোনে থাকে তারা বুলবুল ফণী নিয়ে ট্রল করে ফেসবুক ভাসায়।

‎আসলে সেফজোন বলতে কিছু নেই ।

‎'আমরা সকল মানুষই আইসিইউর মতো লাইফসাপোর্টে আছি, যেকোনো সময় মারা যেতে পারি । '

‎আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন সবাইকে। প্রিয়জনদের হেফাজত করুক ।

‎অকস্মাৎ মৃত্যু নয়, বাঁচতে বাঁচতে ঈমানসহ যাতে মরতে পারি সেই দয়াটুকু করুক...

" আলোকশূন্য নক্ষত্র

ভারতের প্ল্যান  'সি' ব্যর্থ, যেমন: ক্যুও হয়নি, সেনাবাহিনীও ক্ষমতা নেয়নি,জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি, সমস্ত ষড়যন্ত্রে কে পিছন...
26/03/2025

ভারতের প্ল্যান 'সি' ব্যর্থ, যেমন: ক্যুও হয়নি, সেনাবাহিনীও ক্ষমতা নেয়নি,জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি, সমস্ত ষড়যন্ত্রে কে পিছনে ফেলে আজকে চীন সফর করবেন স্যার, আসবে ৫৪ বছরের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গুলো! যেমন : তিস্তা প্রকল্পে ইতিহাসের সেরা সিদ্ধান্ত যেটা ৫৪ বছর ভারত করতে দেয়নি, হতে পারে ব্রেইন হ্যাক্ করার মতো সামরিক চুক্তি, হতে পারে গাত্রদাহের মতো ১ লাখ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মান চুক্তি যেখানে সরাসরি তুরস্কও ইনভলভ থাকবে, আসবে বড় ধরনের লোন সহায়তার মতো সিদ্ধান্তও। ২৫/০৩/'২৫ তারিখের স্যারের ৩৫ মিনিটের জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষন নিশ্চয়ই শুনেছেন? ওখানে কোন চেতনার গল্প ছিল? মোটেও না। কাউকে দোষারোপের গল্প ছিল? তাও না। ৩৫ মিনিটে দেওয়া কোন্ কথাটি আপনার মিথ্যা বা বানোয়াট বলে মনে হয়েছে? প্রশ্ন রাখলাম। এখন আসি স্যারের ঐতিহাসিক একটা লাইনের কথায় : জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাহেব কে সামনে নিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্য একটা কথা বলেছিলেন : "আগামী বছর যেন ইদ টা তারা তাদের দেশে করতে পারে।" নিশ্চয়ই সবাই শুনেছি? কথাটা কি এমনি বলেছেন? না। দেখেন তো আমার সমীকরণের সাথে স্যারের কথা টা মিলে কিনা? আগামী ৮/৯ মাসের মধ্যে চায়নার সহায়তায় জাতিসংঘের ডাইরেক্ট সমর্থনে মায়ানমার থেকে " আরাকান স্টেইট " স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃত লাভ করবে, যেটা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাস্ট্র,ইউনুস সরকারের প্রাণপণ চেষ্টায় আজকের এই রোহিঙ্গারা ফেরত যাবেন তাদের পুরোনো বসত ভিটায়, লাভ করবেন নাগরিকত্বের স্বকৃীত, হবেন স্বাধীন জাতি। ওই যে কথাটির হিসাব মিলিয়ে নিতে পেরেছেন? এখন আপনি বলতে পারেন এটা কিভাবে সম্ভব? হ্যাঁ এটি ডক্টর ইউনুস এর দ্বারাই সম্ভব, ৪ দিনের চীন সফরের ম্যাটিকুলাস প্ল্যানের মধ্যে সবচেয়ে বড ইস্যু এটিও। আপনার কল্পনা যেখানে শেষ, ডক্টর ইউনুসের বাস্তবতা সেখানেই শুরু, কারণ তিনি আপনার কল্পনার চেয়ে মেধাবী। স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করে চীন সফর সফল ও স্বার্থক হউক।সব কিছু আল্লাহ রহমতে হচ্ছে ও হবে ইনশাআল্লাহ,, আল্লাহ পাক বাংলাদেশকে ইসলামের রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করুন আমিন।

10/03/2025

সম্পত্তির দলিল লেখার জন্য ‘দলিল লেখক' এর কাছে দায়িত্ব দিয়েই ক্রেতার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না ✌️ কেননা পরবর্তীতে দলিলে ভুল পরিলক্ষিত হলে দলিল লেখক নয় এর মাশুল গুনতে হবে ক্রেতাকেই। তাই এতে ক্রেতার সচেতনতা আবশ্যক। সম্পত্তির দলিল লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়ে ক্রেতার লক্ষ্য রাখা প্রয়োজনঃ-👇👇👇

১। দলিল সম্পাদনকারী তথা জমি দাতা (বিক্রেতা)
আইনের দৃষ্টিতে সাবালক ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন কি না, আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত কি না তা যাচাই করে নিতে হবে৷

২। দলিলের ধরন যেমন- (ক) সাফ কবলা (খ) বায়না পত্র (গ) দানপত্র (ঘ) হেবার ঘোষনাপত্র ইত্যাদি খেয়াল করতে হবে৷

৩। ক্রেতা যে জমিটি কিনতে যাচ্ছেন সেই প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ, বিক্রয় মূল্য (বায়না দলিল হলে বায়নায় পরিশোধিত টাকা এবং বাকী টাকা) ইত্যাদি দেখে নিতে হবে।

৪। পক্ষ পরিচয় তথ্য যেমন- দলিল গ্রহীতা/প্রথম পক্ষ, দলিল দাতা/দ্বিতীয় পক্ষ, উভয় পক্ষের পূর্ণ নাম, ঠিকানা, পেশা, ধর্ম ইত্যাদি। দলিল গ্রহীতার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং দাতার ক্ষেত্রে আগত খতিয়ান (সর্বশেষ জরিপ/নামজারি খতিয়ান) এর সাথে মিল রেখে নাম ঠিকানা লেখা হয়েছে কি না দেখতে হবে।

৫। স্বত্ত্বের বর্ণনা যেমন- জমি দাতার মালিকানার ভিত্তি, দলিল মূলে হলে পূর্বের দলিলের নম্বর ও তারিখ, পর্চা/খতিয়ান নম্বর ইত্যাদি৷

৬। জমির বিক্রেতা যদি জমিটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে তাহলে মূল মালিকের সাথে বিক্রেতা যোগসূত্র/সম্পর্ক সঠিক আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে৷

৭। দলিলে প্রস্তাবিত জমির তফশিল যেমন- জেলার নাম, উপজেলার নাম, রেজিস্ট্রি অফিসের নাম, মৌজার নাম, জেএল নম্বর, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর এবং জমির শ্রেণি আগত খতিয়ানের সাথে মিল আছে কি না দেখে নিতে হবে। জমির তফশিল লেখার সময় প্রত্যেক দাগে মোট জমির পরিমাণ কত এবং অত্র বিক্রয় দলিলে উক্ত দাগের মধ্যে কত একর বা শতাংশ জমি বিক্রয় করা হচ্ছে তা প্রতি ক্ষেত্রে লিখে নিতে হবে৷ তবে উল্লেখ্য যে, কোন অবস্থাতেই কয়েকটি দাগের জমি একত্রে যোগ করে একর/শতাংশ লেখা উচিত হবে না৷

৮। ক্রেতা যে জমিটি ক্রয় করতে চাচ্ছে সেই জমিটির চৌহদ্দি ঠিক আছে কি না অর্থাত্‍ উত্তর, দক্ষিণ পূর্ব, পশ্চিম পাশের জমির বর্ণনা সহ মালিকের নাম উল্লেখ করতে হবে৷

৯। জমি বিক্রেতা বা দলিল দাতা দলিলের ১ম পৃষ্ঠার উপরের ডান পাশ্বের নীচ থেকে উপরের দিকে তার নিজ নাম স্বাক্ষর করবেন অথবা নিরক্ষর হলে নিজ নামের উপরে টিপ সহি প্রদান করেছেন কি না তা দেখতে হবে৷ এছাড়াও জমি বিক্রেতা বা দাতা দলিলের শেষ পৃষ্ঠার নীচে স্বাক্ষর বা টিপ সহি করবেন৷ তবে দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় দাতার স্বাক্ষর বা টিপ সহি দিলে ভালো হয়৷

১০। জমির বিক্রেতা দলিলের শেষ পৃষ্ঠার নীচে যে জায়গায় তার নিজ নাম স্বাক্ষর বা টিপ সহি করেছেন ঠিক তার নীচে উক্ত দলিলটির লেখক তার নাম স্বাক্ষর করবেন। এরপর কমপক্ষে ২ জন সাক্ষী এবং অপর একজন জমির বিক্রেতাকে সনাক্ত করে সনাক্তকারী হিসাবে স্বাক্ষর করবেন।

১১। দলিলে যতদূর সম্ভব কাটাকাটি, ঘষামাঝা, অষ্পষ্টতা এড়াতে হবে তবুও যদি কোনরূপ ভুল ক্রটি ঘষামাঝা কাটাকাটি হয়েও যায় তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত কাটাকাটি বা ঘষামাঝা যুক্ত লাইন ও শব্দের ক্রম উল্লেখ করে দলিলের শেষাংশে কৈফিয়ত লিখে দলিল লেখককে তার নীচে স্বাক্ষর করতে হবে৷
এছাড়াও জমির ক্রেতাকে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে- বিভিন্ন জরিপের দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর যাতে দলিল লেখকের মাধ্যমে সঠিকভাবে লিখানো হয়৷ এজন্য জমির ক্রেতাকে জমি ক্রয় করার পূর্বেই তহসিল অফিস হতে জমির সঠিক দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর জেনে নিতে হবে৷ প্রয়োজনে খতিয়ানের সইমোহর নকল সংগ্রহ করতে হবে।

゚viralシ #নামজারী #জমি #জমিপরিমাণ #ভূমিসেবা #জমিদার #দলিল #সম্পত্তি #দলিল #নামজারি

09/03/2025

ফ্ল্যট বুকিং দেয়ার পর কি করবেন?
নীচের বিষয়গুলো খেয়াল রেখে, একজন ক্রেতা ফ্ল্যাট বুকিং দিলে বা কিনলে, ঠকে যাবার সম্ভাবনা নেই:-

০১। যেদিন ফ্ল্যাট বুকিং দেবেন, সেদিন টুকেন মানি হিসেবে ৫০ হাজার বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে যাবেন না। যদি মনস্থির করেই থাকেন, অমুক প্রজেক্ট থেকে ফ্ল্যাট বুকিং দেবেন, তাহলে, তাদের কাছ থেকে নেয়া অমুক প্রজেক্টর ব্রশিয়্যরের শেষের পৃষ্ঠায় Terms & Condition এ দেখে নিন, কত % টাকা দিলে "নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি সম্পাদন" করবে। যার সাথে ফ্ল্যাটের ব্যাপারে সমস্ত আলাপ হয়েছে, তাকে বলে দিন যে, আপনি কবে যাচ্ছেন অফিসে এবং ডাউন পেমেন্টের সব টাকাই পে- অর্ডার ( কি নামে করবেন তা টার্মস এন্ড কন্ডিশনে লেখা আছে) করে নিয়ে যাবেন। তাকে আরো জানিয়ে দিন, উল্লেখিত প্রজেক্টের সকল লিগ্যাল পেপারস যেন এক সেট ফটোকপি করে রাখে।

০২। লিগ্যাল পেপারসে আপনি যা যা দেখবেন:-

* কোম্পানীর সাথে জমির মালিকের চুক্তিপত্র। (এটি অনেক ডেভেলপার দিতে চায় না, আপনি যেভাবেই হোক, তা আদায় করে নেবেন)।
* Power of Attorney এর ফটোকপি।
* জমির মূল মালিকের মূল দলিলের ফটোকপি।
* জমির মূল মালিকের সিটি জরীপ + আর.এস অনুযায়ী নামজারী পর্চা, জমাভাগ, ডি.সি.আর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) ও খাজনার রশিদ।
* বায়া দলিল ( মূল মালিকের আগে কারা কারা এ জমির মালিক ছিল, তাদের দলিল) গুলোর ফটোকপি।
* সকল পর্চা ( ঢাকা মহানগর পর্চা, আর.এস পর্চা, সি.এস পর্চা, এস,এ পর্চা) এর ফটোকপি।
* আপ টু ডেট খাজনার রশিদ।
* সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স এর ফটোকপি।
* রাজউকের প্ল্যান পাসের কপির ফটোকপি। (যদি পারেন কিছু টাকা দিয়ে রাজউক কর্তৃক প্ল্যান পাসের নকসাটিরও ফটোকপি নিয়ে নেবেন। এটি অনেক বড় একটি নক্সা, তাই ডেভেলপার ফটোকপি করিয়ে রাখে না। আপনি নীলক্ষেত বা দৈনিক বাংলার মোড়ে অনেক দোকান পাবেন, সেখান থেকে করিয়ে আনাবেন - প্রয়োজনে।

০৩। যদি ২ নং উল্লেখিত লিগ্যাল পেপারের কোন একটি না থাকে, তাহলে আপনাকে ফ্ল্যাট বুকিং না দেয়াই ভাল। যে কাগজটি নেই, সেটি ডেভেলপার জোগাড় করে যেদিন আপনাকে দিতে পারবে, সেদিনই ফ্ল্যাট বুকিং দিন।

০৪। যদি বুকিং মানি হিসেবে আপনি " ডাউন পেমেন্ট" করবেন বলে ঠিক করে রাখেন, তাহলে সেই ডাউন পেমেন্ট করার আগেই "আপনার সাথে ডেভেলপারের যে "দ্বি-পক্ষীয় চুক্তিটি" হবে" তার একটি নমূনা কপি দিতে বলেন। অধিকাংশ যেভেলপারই সেই চুক্তির কপিটি ইংরেজীতে করে। আপনি ইংরেজীতে ততটা দক্ষ না হলে, তাদেরকে বলুন, " বাংলা ফরম্যাটের চুক্তিনামা দিতে। কারন, ডেভেলপার ইংরেজী চুক্তিনামার অনেক টার্মসেই টেকনিক্যাল বা খুব সুক্ষভাবে কিছু ফাঁক ফুকর রাখে, যা ফ্ল্যাটক্রেতা ধরতে পারেনা। পরবর্তীতে সমস্যা হলে, সেই টার্মসটির কারনে ফ্ল্যাটক্রেতা কিছুই করতে পারে না।

০৫। বাংলায় বা ইংরেজীতে, যে কোন ফরম্যাটের চুক্তিনামার নমূনা কপি আপনাকে দিক না কেন, আপনি নিম্নে উল্লেখিত শর্তগুলো চুক্তিনামায় উল্লেখ আছে কি না তা দেখে নিনঃ-

* চুক্তিনামায় আপনার এবং ডেভেলপারের কর্তাব্যক্তির (যার সাথে জমির মালিকের চুক্তি ও আম-মোক্তার নামা হয়েছে) নাম, বাবা মার নাম,স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার উল্লেখ করেছে কিনা দেখুন।
* রাজউক কর্তৃক প্ল্যান পাসের নাম্বার সহ তারিখটি উল্লেখ আছে কি না দেখুন।
* যেদিন চুক্তি হচ্ছে, সেদিনের তারিখটি উল্লেখ আছে কিনা।
* ফ্ল্যাটের( ফ্ল্যাট মূল্য+ কার পার্কিং মূল্য (যদি কার পার্কিং কিনতে চান)+ ইউটিলিটি বা অন্যান্য কোন মূল্য) মূল্য ঠিকমত লেখা হয়েছে কি না, তা দেখুন। সবগুলোর আলাদা আলাদা দাম দর করে থাকলে, চুক্তিতেও আলাদাভাবে লিখে সর্বমোট দাম লিখতে বলবেন।
* চুক্তিপত্রে আপনার সাথে আলোচনা করে কিস্তির টাকা কিভাবে দেবেন, তা ঠিক হয়ে থাকলে, সেইভাবে লেখা আছে কি না দেখুন।
* ফ্ল্যাটটি কবে আপনাকে হস্তান্তর করা হবে, সেটির নির্দিষ্ট তারিখ ঠিকমত লেখা হয়েছে কি না দেখুন।
* জমির মালিকের সাথে ডেভেলপারের চুক্তিপত্রে প্রজেক্ট টি বসবাস উপযোগী করে কবে হস্তান্তর করা হবে, সেই তারিখের, সাথে আপনাকে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তারিখের মিল আছে কি না, তা খেয়াল করুন। যদি মিল না থাকে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করুন।
* আপনাকে নির্দিষ্ট সময় ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করতে পারলে, সেই তারিখের পর ফ্ল্যাটভাড়া আপনাকে কত করে দেবে, তা উল্লেখ আছে কি না দেখুন। যদি তা উল্লেখ না থাকে, তাহলে তা আলোচনা করে বসিয়ে নিন। তবে, এক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, চুক্তি অনুযায়ী আপনি সঠিক সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধের পরেই ফ্ল্যাটভাড়া পেতে পারেন।
* চুক্তিতে " ফ্ল্যাট মালিক সমিতির" জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ধরা হয়। সেটি কত তা খেয়াল করুন এবং সকলের চুক্তিপত্রে উক্ত টাকার পরিমান একই আছে কি না জেনে নিন।
* তফসিলে আপনার ফ্ল্যাট নং, কত তলায়,কোন্ পার্শ্বে - তা ঠিকমত উল্লেখ আছে কি না দেখুন।

০৬। ডেভেলপারের সাথে চুক্তিনামায় অবশ্যই " Feature & Amenities" অর্থ্যাৎ ডেভেলপার আপনার ক্রয়কৃত ফ্ল্যাটে কি কি নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবে তা থাকতে হবে। বাংলায় হলে ভাল। সেগুলো ভালভাবে পড়ে তারপর চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

০৭। চুক্তিনামার শেষে, ডেভেলপারের ছাপানো ব্র্যশিয়্যার (যেটি দেখে আপনি ফ্ল্যাটটি বুকিং দিচ্ছেন, সেটিও "চুক্তিনামার একটি অংশ" -এ কথাটি যেন চু্ক্তিনামায় থাকে। অনেক সময়ই ডেভেলপার তার নিজ স্বার্থে ব্র্যশিয়্যার পরিবর্তন করে। তখন আপনাকে বিপাকে পড়তে হতে পারে।

০৮। একটি বিষয় খেয়াল রেখে চুক্তিনামায় কিস্তির টাকা পরিশোধের সিডিউল দেয়া উচিৎ। তা হলো, কিস্তির টাকা পরিশোধের সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ কাজ চলছে কিনা। সেটি তদারকি করা খুবই প্রয়োজন। আপনি চুক্তিনামা অনুযায়ী কিস্তির টাকা পরিশোধ করে যাচ্ছেন, কিন্তু ডেভেলপার সেই অনুপাতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিচ্ছে না-- তাতে আপনি এক সময় বিপদে পড়তে পারেন। অধিকাংশ ডেভেলপার এক প্রজেক্টের টাকা অন্য প্রজেক্টে খাটায়। তাতে কোন অসুবিধা নেই যদি দেখেন আপনার বুকিংকৃত প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে।

#ওয়ারিশসম্পত্তি #খাজনা #নামজারি #ভাইরাল #জমি_খবর

16/02/2025

⭕⭕ কিভাবে মিল*নের সময় বাড়াবেন ???

🥰> প্রস্তুতি পর্ব –

১. নিজেকে অযথা উত্তে*জিত হতে দিবেন না , আপনি জানেন যে ব্যপার টি হতে চলেছে তাই ধৈর্য ধরুন ।

২. ব্যাপারটি নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না , ধীরে শুরু করুন।

৩.সঙ্গিনীর গায়ে হাত দেয়ার আগে তার সাথে রোমান্টিকতা করুন , তাকে আপনার দেয়া আদুরে নাম ধরে ডাকুন , তাকে জানান যে আপনি তাকে ভালবাসেন।
এর কারন হল পুরুষ এর যৌজিন চাহিদা জৈবিক , কিন্তু নারীদের তা নয় । তাদের এই চাহিদা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত , তাই উত্তে*জিত হতে সময় লাগে ।
যদি সঙ্গিনির মন খারাপ , শরীর খারাপ থাকে তাহলে মিলন করবেন না কারন, তখন তার শরীর সাড়া দেবে না ।

৪.চু*ম্বন দিয়ে শুরু করুন এবং তা দীর্ঘায়িত করুন ।

৫. স্পর্শ কাতর অংশে প্রথমেই হাত দিবেন না, তার আশে পাশে স্পর্শ করুন , যখন বুঝবেন আপনার সঙ্গিনীর উত্তে*জনা উঠছে তখন স্পর্শ কাতর অংশে মৃদু ভাবে আদর করুন ।

৬. আপনার সঙ্গিনী পুরোপুরি উত্তে*জিত হবার ১-২ মিনিট পর মি*লনের প্রস্তুতি নিন।

🥰> মিলন পর্ব-

(শোবার ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন , এটি শুধু ঘুম এবং যৌ*ন মিল*নের জন্য ব্যবহার করুন । মিল*নের সময় ঘরে হালকা আলো জ্বালিয়ে রাখুন , রোমান্টিক গান চালু রাখুন । )

১. সঙ্গিনীর দেহে প্রবেশ এর পূর্বে আপনার যৌ*নাঙ্গ দিয়ে দিয়ে তার যৌ*নাঙ্গে হালকা ভাবে আদর করুন , সঙ্গীকে জানান যে আপনি এখন প্রবেশ করতে যাচ্ছেন , এর ফলে সে আপনাকে ভিতরে নেয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হবে।

২. কক্ষনোই জোর করে ঢুকার চেষ্টা করবেন না , যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিনীর যৌ*নাঙ্গ আপনাকে নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয় তবে তাকে আশ্বাস দিন যে অসুবিধা নেই , সঙ্গিনীকে রাগ দেখাবেন না । যৌ*নাঙ্গ সবসময় এক ধরনের Response নাও দিতে পারে। যদি রাগ দেখান তাহলে পরবর্তীতে সে উত্তে*জিত হবার বদলে ভয় পাবে এবং তার মস্তিস্ক Response করতে প্রচুর সময় নিবে ।

৩. প্রবেশ এর পর আস্তে আস্তে আদর করুন , সঙ্গিনীকে মন থেকে ভালোবাসার কথা বলুন , তার সারা শরীর এ হাত বুলান । মনে রাখবেন যে , যদি আপনার সঙ্গী আপনার কাছ থেকে ভালবাসা পূর্ণ শারীরিক আদর লাভ করে তাহলে এটি তার কাছে আনন্দময় মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হবে , এবং তা সুখকর স্মৃতি হিসেবে তার মস্তিস্কে জমা হবে । ফলাফল হিসেবে পরবর্তীতে যৌ*ন মি*লনের সময় তার Response অনেক ভালো হবে ।

৪. সঙ্গিনীকে ব্যথা দিবেন না । মাঝে মাঝে প্রশ্ন করুন যে তার কেমন লাগছে । যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিনীর যোনি রস কমে আসছে বা শুকিয়ে আসছে তাহলে সঙ্গম শেষ করে দিন , জোর করে দীর্ঘায়িত করবেন না ।

৫. মি*লনের এক পর্যায়ে যখন আপনি অনুভব করছেন যে আপনার একটি শিরশিরে অনুভূতি হচ্ছে এবং এই অনুভূতি আর একটু বাড়লেই আপনার বী*র্যপাত হয়ে যাবে , তখন কোমর সঞ্চালন বন্ধ করুন । চুপচাপ সঙ্গিনীর উপর শুয়ে থাকুন এবং তাকে গলায় বা কানে চুমু দিন। চোখ বা চুলের প্রশংসা করুন । আলতো ভাবে তাকে আদর করুন । এতে আপনার মনোযোগ অন্য দিকে সরবে এবং শিরশিরে অনুভূতি কমে গিয়ে যৌ*নাঙ্গ আবার স্বাভাবিক হবে । এরপর আবার মি*লন শুরু করুন । প্রক্রিয়া টি ২-৩ বার এর বেশী প্রয়োগ করবেন না ।

৬. আসন পরিবর্তন করুন । এক এক দম্পতি এক এক আসনে তৃপ্তি বোধ করেন , তাই ধীরে ধীরে জেনে নিন আপনাদের কোন আসন পছন্দ । সেগুলো প্রয়োগ করুন।

৭. মিল*নের সময় যদি অল্প সময়ে নারী সঙ্গির যোনি রস শুকিয়ে আসে , বা পুরুষ সঙ্গির লি*ঙ্গ তেমন শক্ত না হয় , বা দ্রুত বী*র্যপাত হয়ে যায় তাহলে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না । নিয়মিত যৌ*ন জীবন এর মাঝে মাসে ২-৪ বার এরকম হতেই পারে । সঙ্গীকে জানান যে কোন অসুবিধা নেই । পরের বার ভালো হবে । প্রত্যেক বার যে পূর্ণ যৌ*ন মি*লন করতেই হবে এমন কথা নেই ।

৮. এক এক দম্পতি উত্তেজিত হবার এক এক নিয়ম ( যেমন , চু*ম্বন , ব্লো-জব ) পছন্দ করেন , জেনে নিন আপনাদের কোনটি পছন্দ । সেটি করুন । একক সিদ্ধান্ত নেবেন না । আপনার সঙ্গী যদি কোনটি পছন্দ না করেন তবে সেটি করবেন না ।

৯.আপনার ইচ্ছা করছে কিন্তু আপনার সঙ্গীর করছেনা । তাহলে নিজেকে সংযত করুন ।

১০.ঘরে নগ্ন চলাফেরা করবেন না তাহলে শরীরের প্রতি আকর্ষণ কমে যেতে পারে ।

১১. নারী সঙ্গীরা রাতে শোবার আগে পোশাক পরিবর্তন করে যৌ*ন উত্তে*জক পোশাক পড়ুন ।

১২. নারী সঙ্গীরা ভাববেন না যে পুরুষ সঙ্গিরাই সবসময় আমন্ত্রণ জানাবে । আপনিও জানান । নিজের যৌ*ন চাহিদা

Address

Talaimari
Patgram

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sororitu Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sororitu Tv:

Share