Ucchash Tours - উচ্ছ্বাস ট্যুরস

Ucchash Tours - উচ্ছ্বাস ট্যুরস We are your trusted partner

23/06/2025

📍ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া (২০২৫)
একই পোস্টে সব আপডেটেড তথ্য! 🚆

━━━━━━━━━━━━━━━
🚆 ট্রেন ও সময়সূচী:

▪️ সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮)
ছাড়ে: সকাল ৭:০০ | পৌঁছায়: দুপুর ১২:১৫
❌ সাপ্তাহিক ছুটি: বুধবার

▪️ সুবর্ণা এক্সপ্রেস (৭০২/৭০১)
ছাড়ে: বিকেল ৪:৩০ | পৌঁছায়: রাত ৯:২৫
❌ সাপ্তাহিক ছুটি: সোমবার

▪️ মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২/৭২১)
ছাড়ে: রাত ৯:২০ | পৌঁছায়: ভোর ৩:৩০ (পরবর্তী দিন)
❌ সাপ্তাহিক ছুটি: রবিবার

▪️ মহানগর প্রভাতী (৭০৪/৭০৩)
ছাড়ে: সকাল ৭:৪৫ | পৌঁছায়: দুপুর ১:৩৫
✅ চলে প্রতিদিন

▪️ তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪২/৭৪১)
ছাড়ে: রাত ১১:১৫ | পৌঁছায়: ভোর ৫:১৫
✅ চলে প্রতিদিন

▪️ কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩/৮১৪)
ছাড়ে: রাত ১০:০০ | পৌঁছায়: ভোর ৩:৪০
❌ সাপ্তাহিক ছুটি: সোমবার

━━━━━━━━━━━━━━━
🛤️ মেইল/এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহ:

▪️ চট্টগ্রাম মেইল (০২)
ছাড়ে: রাত ১০:৩০ | পৌঁছায়: সকাল ৭:২৫
✅ চলে প্রতিদিন

▪️ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (০৪)
ছাড়ে: সকাল ৮:৩০ | পৌঁছায়: বিকেল ৬:০০
✅ চলে প্রতিদিন

▪️ চট্টলা এক্সপ্রেস (৬৪)
ছাড়ে: দুপুর ১:০০ | পৌঁছায়: রাত ৮:৫০
❌ সাপ্তাহিক ছুটি: শুক্রবার

━━━━━━━━━━━━━━━
💰 টিকিট ভাড়া (ঢাকা→চট্টগ্রাম, ১৫% VAT সহ):
▪️ শোভন চেয়ার – ৪৫০৳
▪️ প্রথম সিট – ৬৮৫৳
▪️ স্নিগ্ধা – ৮৫৫ ৳
▪️ এসি চেয়ার – ১০২৫ ৳
▪️ এসি বার্থ/কেবিন – ১৪৪৮ ৳

━━━━━━━━━━━━━━━
🎫 টিকিট কাটার উপায়:

▪️ অনলাইন: eticket.railway.gov.bd
▪️ অ্যাপ: Rail Sheba
▪️ কাউন্টার: সকাল ৮টা – বিকেল ৪টা

━━━━━━━━━━━━━━━
📌 টিপস:

🔸 জনপ্রিয় ট্রেন (সুবর্ণা, সোনার বাংলা, এসি) ভাড়া ও শ্রেণি দেখে আগে টিকিট কেটে ফেলুন
🔸 যাত্রার আগে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ও সময় নিরীক্ষণ করে রাখুন
🔸 এই পোস্টটা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যারা ঢাকা–চট্টগ্রাম ট্রেনে যাচ্ছেন!

━━━━━━━━━━━━━━━
#ভ্রমণগাইড

19/06/2025

এই ৩টা টিপস ফলো করলে ট্রাভেলিং-এ হাজার হাজার টাকা সেভ করা সম্ভব – আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি

ট্রাভেল করতে চাও, কিন্তু বাজেটের চিন্তায় বারবার পিছিয়ে যাচ্ছো? আমি নিজেও একসময় এই ফেজের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এখন বুঝি, স্মার্ট প্ল্যানিং আর কিছু রিয়েল ট্রাভেল ট্রিকস জানলে খরচ অনেক কমিয়ে ফেলা যায়।

আজকে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি – এমন ৩টা টিপস, যেগুলো শুধু টাকা বাঁচাতে না, তোমার ট্রাভেল এক্সপেরিয়েন্সটাকেও অনেক বেশি রিচ করে তুলবে।

১. অফ-সিজনে ট্রাভেল করো – খরচ কম, অভিজ্ঞতা বেশি

সবাই যখন ঘুরতে যায়, তখন না গিয়ে একটু অফ-সিজনে যাওয়ার চেষ্টা করো। দাম কম, জায়গাগুলো তুলনামূলক ফাঁকা, আর অভিজ্ঞতাটা অনেক বেশি প্রাইভেট লাগে।

আমি একবার Dubai গিয়েছিলাম আগস্টে – অনেকেই তখন ভয় পায় গরমের কারণে, কিন্তু হোটেল রেট ছিল অর্ধেক। আর শপিং ফেস্টিভ্যাল চলছিল, শপিং করে যা বেঁচেছি – ওইটায় পুরো ট্রিপের খরচ উঠে গেছে প্রায়।

Cox’s Bazar-এও গিয়েছিলাম মার্চের শুরুতে – যেখানে রিসোর্টের দাম সাধারণত ৬ হাজার, আমি পেয়েছিলাম ২২০০ টাকায়। ওই টাকায় একদিন এক্সট্রা থেকে আসা গিয়েছিল।

২. হোটেলের বদলে Airbnb বা লোকাল গেস্টহাউজ বেছে নাও

বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য Airbnb একটা স্মার্ট সলিউশন।

একই লোকেশনে যেখানেই হোটেলের খরচ হয় ৩০–৪০ হাজার, Airbnb-তে অনেক সময় তার অর্ধেক খরচে থাকার ব্যবস্থা পাওয়া যায়।

বিশেষ করে যদি তুমি একা না গিয়ে ২–৩ জন মিলে যাও, তাহলে পুরো ফ্ল্যাট বা স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে থাকা যায় – যেটাতে কুকিং সুবিধা সহ এক্সট্রা কমফোর্টও মেলে।

এছাড়া বুকিং.কম, Agoda বা লোকাল ফেসবুক পেজে খুঁজলেও অনেক ভালো মানের গেস্টহাউজ বা হোমস্টে পাওয়া যায়, যেগুলোর রেট অনেক বেশি অ্যাফোর্ডেবল।

৩. এয়ার টিকিট বুকিং-এ স্ট্র্যাটেজি থাকলে বাজেট সেভ হয় সবচেয়ে বেশি

সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এয়ার টিকিটে। কিন্তু কিছু টেকনিক জানলে এখান থেকেই সবচেয়ে বড় সেভিংসটা করা যায়।

– টিকিট বুক করো ট্রাভেল টাইমের অন্তত ২–৩ সপ্তাহ আগে
– ইনকগনিটো মোডে সার্চ করো, কারণ অনেক সময় ওয়েবসাইট ভিজিট ট্র্যাক করে দাম বাড়িয়ে দেয়
– Google Flights, Skyscanner, Hopper – এই টুলগুলা ইউজ করো
– ফ্লেক্সিবল থাকো – মঙ্গলবার বা বুধবার ফ্লাইট নাও
– রাত ২টা–৪টার ফ্লাইট গুলা সাধারণত সস্তা পাওয়া যায়

৩ নাম্বার টিপসটা আবার বলছি – কারণ এটা মিস করলেই বাজেট ওভার

আমি Malaysia ট্রিপের জন্য একবার রিটার্ন টিকিট পেয়েছিলাম ১৭,৫০০ টাকায় – যেখানে বেশিরভাগ মানুষ ৩৫ হাজার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

এই ডিফারেন্সটা আসে শুধু একটু আগে বুকিং, ফ্লাইট টাইম বেছে নেয়া, আর সঠিক টুল ইউজ করার মাধ্যমে।

শেষ কথাঃ
ট্রাভেল করার ইচ্ছা থাকলে প্রথমেই শিখে নাও কিভাবে খরচ কন্ট্রোল করতে হয়। বেশি খরচ মানেই ভালো ট্রিপ না – বরং কম খরচে বেশি এক্সপেরিয়েন্সই আসল জিনিস।

আর যদি তুমি একদম নতুন ট্রাভেলার হও, বুঝতেছো না কোথা থেকে টিকিট বা ভিসার প্রক্রিয়া শুরু করবে – তাহলে আমি সাজেস্ট করবো AAJ Travels -কে।
ওরা ট্রাস্টেড, ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ, এমনকি মেডিকেল ট্যুরিজম পর্যন্ত সব সাপোর্ট দেয় – এক জায়গা থেকেই সব ম্যানেজ করা যায়।

তোমার ট্রাভেল শুরু হোক বুদ্ধিমানের মতো – খরচ বাঁচাও, অভিজ্ঞতা বানাও।
Where’s your next destination?

সস্তায় ফ্লাইট টিকিট কেনার ৭টি কার্যকর টিপসএটা যে ১০০% কার্যকর সেটা আমি  #ইউরোপ 🇪🇺 আসার সময় বুঝতে পেরেছিলাম , যেখানে 150...
16/06/2025

সস্তায় ফ্লাইট টিকিট কেনার ৭টি কার্যকর টিপস

এটা যে ১০০% কার্যকর সেটা আমি #ইউরোপ 🇪🇺 আসার সময় বুঝতে পেরেছিলাম , যেখানে 150,000 এর টিকেট আমি মাত্র 80,593 টাকায় পেয়েছিলাম,

সস্তায় ফ্লাইট টিকিট কিনতে কিছু কৌশল জানা থাকলে ভ্রমণের খরচ অনেক কমানো সম্ভব। নিচে এমন ৭টি কার্যকর কৌশল উল্লেখ করা হলো।

১. মঙ্গলবার ও বুধবার টিকিট বুক করুন

মঙ্গলবার এবং বুধবার হলো সস্তায় টিকিট কেনার সেরা দিন। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তাদের টিকিটের মূল্য আপডেট করে। পরিসংখ্যান বলছে, অধিকাংশ মানুষ শুক্রবার, শনিবার বা রবিবার টিকিটের দাম খোঁজেন। তাই মধ্য সপ্তাহে টিকিট কিনলে দাম তুলনামূলক কম হয়।

২. আগে থেকে টিকিট বুক করুন, তবে অতিরিক্ত আগেও নয়

ভ্রমণের তারিখের অন্তত ২১ দিন আগে টিকিট কিনুন। এয়ারলাইনস সাধারণত প্রথম কয়েকজন যাত্রীকে সবচেয়ে সস্তা টিকিট দেয়। তবে খুব আগেও বুক করলে বেশি দাম দিতে হতে পারে।

৩. সঠিক দিন নির্বাচন করুন

মঙ্গলবার বা বুধবার ফ্লাইট বুকিং এবং ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এই দিনগুলোতে ভ্রমণকারী তুলনামূলক কম থাকে। তাই টিকিটের দামও কম থাকে।

৪. আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য সেরা অফার খুঁজুন

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ১১-১২ সপ্তাহ আগে টিকিটের সেরা অফার পাওয়া যায়। এই সময়ে নিয়মিত টিকিটের দাম চেক করুন।

৫. ছোট এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করুন

বড় এয়ারপোর্টের পরিবর্তে কাছাকাছি ছোট এয়ারপোর্টে নামার চেষ্টা করুন। যেমন, লন্ডনে যাওয়ার সময় হিথ্রোর পরিবর্তে ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে নামুন এবং ট্রেনে লন্ডনে যান। এতে খরচ কমে।

৬. ব্রাউজারের 'কুকিজ' পরিষ্কার করুন

ফ্লাইট টিকিট খোঁজার সময় আপনার ব্রাউজারের কুকিজ পরিষ্কার করুন। না হলে এয়ারলাইন্সের বুকিং সিস্টেম আপনার আগের অনুসন্ধান ধরে নেবে এবং দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।

৭. টিকিটের দাম তুলনা করুন

একটি ওয়েবসাইটে নির্ভর না করে বিভিন্ন সাইটে টিকিটের দাম তুলনা করুন। প্রায়ই দেখা যায়, একই এয়ারলাইন্সের টিকিট অন্য ওয়েবসাইটে সস্তা পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: সাইটগুলো ব্যবহার করুন

সস্তায় টিকিট খুঁজতে এই সাইটগুলো ব্যবহার করুন:

1. Skyscanner
https://www.skyscanner.net

2. CheapFlight
https://www.cheapflights.com

3. Momondo
https://www.momondo.com

4. Kayak
https://www.kayak.com

5. Google Flights
https://www.google.com/flights

ফ্লাইটের টিকিট সস্তায় কিনতে এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন। পরিকল্পিত ভ্রমণ আপনার সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচাবে।

Collected

Compare cheap flight prices from all major airlines and travel agents, and find the cheapest tickets to all your favourite destinations. Book online today.

10/06/2025

কক্সবাজারে দৌড়...
এখানে দৌড়াতে আসলে অনেকেই খরচের কথা চিন্তা করেন। তাই আজকে খুঁজে এই লেখাটা বের করে শেয়ার করছি। শুনলাম, কক্সবাজারের এই হোটেলগুলোতে থাকা যাবে সবচেয়ে কম খরচে।
✅ কক্সবাজারের সাশ্রয়ী হোটেল: কম খরচে আরামদায়ক থাকার সুযোগ
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে অনেকেই ঘুরতে যান, কিন্তু অনেকেরই বাজেট সীমিত থাকে। তাদের জন্য কিছু সাশ্রয়ী হোটেলের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে কম খরচে আরামদায়কভাবে থাকা যাবে।
১. হোটেল সী কুইন রিসোর্ট
ঠিকানা: কলাতলী, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ১,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৮৫৬-৭৮৯৪৫৬
২. হোটেল সী হেভেন
ঠিকানা: লাবণী পয়েন্ট, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ৮০০ থেকে ২,২০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৭৬৫-৪৩২১০৯
৩. হোটেল নীলাকাশ
ঠিকানা: সুগন্ধা পয়েন্ট, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৬২৩-৫৬৭৮৯০
৪. হোটেল শৈবাল গেস্ট হাউজ
ঠিকানা: কলাতলী, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ৯০০ থেকে ২,৫০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৮৭৪-৯৮৭৬৫৪
৫. হোটেল সী প্যালেস
ঠিকানা: লাইটহাউস রোড, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ১,২০০ থেকে ২,৮০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৭৩৪-৫৪৩২১০
৬. হোটেল ব্লু ওয়েভ
ঠিকানা: কলাতলী, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ১,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৯৩২-৬৫৪৩২১
৭. হোটেল ডলফিন রিসোর্ট
ঠিকানা: লাবণী পয়েন্ট, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ১,২০০ থেকে ৩,০০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৮৯৮-৭৬৫৪৩২
৮. হোটেল বীচ হ্যাভেন
ঠিকানা: সুগন্ধা পয়েন্ট, কক্সবাজার
রুম ভাড়া: ১,০০০ থেকে ২,৭০০ টাকা
যোগাযোগ: ০১৬৭৮-৯৮৭৬৫৪
এই হোটেলগুলোতে থাকা যাবে একদম সাশ্রয়ী মূল্যে, যা পর্যটকদের জন্য একটি বড় সুবিধা। অগ্রিম বুকিং করলে আরও ছাড় পাওয়া যেতে পারে। বাজেটের মধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে এই হোটেলগুলো হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য

প্রকৃতির মাঝে, ঢাকার কাছেই ১০ ক্যাম্পিং সাইটঘুরে বেড়ানোর সময় যারা প্রকৃতিকে অনেক কাছ থেকে উপলব্ধি করতে চান তাদের জন্য বহ...
09/12/2024

প্রকৃতির মাঝে, ঢাকার কাছেই ১০ ক্যাম্পিং সাইট
ঘুরে বেড়ানোর সময় যারা প্রকৃতিকে অনেক কাছ থেকে উপলব্ধি করতে চান তাদের জন্য বহু প্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা হলো ক্যাম্পিং। এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রকৃতির বন্যতাকে সুক্ষ্মভাবে পরখ করার আমেজ দেয়। সেখানে ভয় ও উত্তেজনাকে ছাপিয়ে সরবে আবির্ভূত হয় রাতভর আড্ডা আর পূর্ণিমার আলোয় ঝিঝি পোকার ডাক। ব্যস্ততার বেড়াজাল থেকে রেহাই দিয়ে ঠিক এমনি অভিজ্ঞতা দিতে পারে ঢাকার কাছেই কিছু দারুণ ক্যাম্পিং সাইট। তাই হুট করে কোন এক শীতের সকালে ক্যাম্পিংয়ের সরঞ্জাম সঙ্গে করে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তবে তার আগে চলুন জেনে নিই, তেমন কিছু জায়গার খোঁজ।

দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ, গাজীপুর

গাজীপুরে অবস্থিত এই ক্যাম্পটি প্রথমবারের মত বেসরকারিভাবে প্রকৃতির মাঝে নির্মিত ক্যাম্প। এখানে ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি ব্যবস্থা আছে রোপ সাইক্লিং, ক্লাইম্বিং, আর্চারিসহ দারুণ কিছু আউটডোর এক্টিভিটিসের। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস অব্দি দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশে ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ দিয়ে থাকে। এক্টিভিটিসগুলোর ওপর নির্ভর করে স্কুল, পরিবার অথবা করপোরেট গ্রুপগুলোর ক্যাম্পিং প্যাকেজ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিশ জনের একটি দলের প্রতি দুই সদস্যের এখানে তাবুতে থাকার জন্য ভাড়া পড়ে আড়াই হাজার টাকা।

বৃন্দাবন রিসোর্ট, গাজীপুর

গাজীপুরের অনেকগুলো রিসোর্টের মধ্যে বৃন্দাবন রিসোর্টটি আলাদা হওয়ার মূল কারণ হলো এর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সাজানো স্থাপনা। তাই এটি ঢাকার ভ্রমণপিপাসুদের পরিপাটি ক্যাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ। ঢাকার থেকে মাওনা ফ্লাইওভার দিয়ে শিশুপল্লী পার হয়ে কিছুদূর সামনে গেলেই গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের বৃন্দাবন রিসোর্ট। পুরো যাত্রায় বাস ও রিকশায় মোট খরচ হতে পারে প্রায় ১৭০ টাকার মত। এই রিসোর্ট এরিয়ার মধ্যে ক্যাম্পিং খরচ জন প্রতি ২০০ টাকা।

নীলা বর্ষা রিভার কুইন, সাভার

পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণ ও ঘুড়ি উড়ান; সর্বপরি ক্যাম্পিংয়ের আদর্শ জায়গা নীলা বর্ষা রিভার কুইন। স্থানীয় বাসিন্দারাসহ ঢাকার ভ্রমণপ্রিয়দের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাভারের এই রিসোর্টটিতে পৌঁছাতে নৌকা যোগে ছোট্ট নদী পার হতে হয়। ঢাকা থেকে প্রথমে সাভার থানা স্ট্যান্ড যেয়ে সেখান থেকে মিনিট দশেক পায়ে হেঁটে ভাগলপুর ঘাট। সেখান থেকে নৌকা নিয়ে বংশী নদী পার হলেই ক্যাম্পিং সাইট।

সারিঘাট, কেরানীগঞ্জ

বিগত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ঢাকার নিকটেই এই জায়গাটি ক্যাম্পিংয়ের জন্য বেশ উপযুক্ত। এর আশেপাশের পুরো শান্ত পরিবেশ ঘুরে দেখার জন্য কায়াকিংয়েরও ব্যবস্থা আছে।

ঢাকা থেকে প্রথমে যাত্রাবাড়ী যেতে হবে। পরে সেখান থেকে জুরাইন রেল গেইট। অতঃপর পোস্তগলা ব্রিজের পার হলেই পাওয়ার যাবে সারিঘাটের সিএনজি চালিত অটো রিকশা। এই পুরো যাত্রায় খরচ হতে পারে বাস ও অটোরিকশা মিলে প্রায় ৪০ টাকার মত।

মায়াদ্বীপ, নারায়ণগঞ্জ

এটি মূলত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদীর ঠিক মাঝখানে জেগে ওঠা ত্রিভুজ আকৃতির একটি চর। ক্যাম্পিংয়ের আসল রোমাঞ্চকর আমেজের ষোল আনাই পরিপূর্ণ হবে এই গ্রামটিতে। গুলিস্তান থেকে বাসে করে মোগড়াপাড়া; তারপর সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে বৈদ্যের বাজার বা আর একটু ভেতরে আনন্দ বাজার ঘাট। এখান থেকেই নৌকা নিয়ে রওনা হওয়া যাবে মায়াদ্বীপের উদ্দেশে। পুরো যাতায়াতে খরচ পড়তে পারে বাস, অটোরিকশা ও নৌকা নিয়ে সর্বমোট প্রায় ৮০ টাকা।

আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ

ঢাকার কাছেই সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম দেখতে হলে যেতে হবে নারায়ণগঞ্জের এই উপজেলায়। এর গ্রামগুলো প্রত্যেকটিই নয়নাভিরাম। বিশেষত বিশনন্দি ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামকে সবাই এখন মিনি কক্সবাজার বলেই ডাকে। এই গ্রামগুলো যে কোনটিতেই ক্যাম্পিং করে একটা পুরো দিন কাটিয়ে দেয়া যায়। এগুলোর মধ্যে কালাপাহাড়িয়া, খালিয়ারচর, কদিমচর, রাধানগর, খাগকান্দা গ্রামগুলো ক্যাম্পিংয়ের জন্য সেরা।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে প্রথমে বাসে করে আড়াই হাজার আসতে হবে। আড়াইহাজার থানার মোড় থেকে খাগকান্দা ঘাটে এলেই দূর থেকে চোখে পড়বে চৌদ্দার চর। এটিই এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাম্পিং সাইট। আড়াইহাজার পৌঁছতে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৫০ টাকা।

ক্যাম্পসাইট ক্যাফে, কেরানীগঞ্জ

কেরানীগঞ্জের কলাতিয়াতে নৌখোলা নদীর পাড়ে সরু রাস্তার পাশে অবস্থিত এই ক্যাফে। দারুণ লেক ভিউসহ এখানকার গ্রাম্য পরিবেশে ক্যাম্পিং প্যাকেজ জন প্রতি ১,১৯৯ টাকা। পাশেই গাড়ি অথবা বাইক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তাই পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ক্যাম্পিংয়ের জন্য উপযুক্ত জায়গা এই ক্যাফেটি। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পিং ছাড়াও প্যাকেজের মধ্যে আছে লেকের পানিতে সুইমিং, সাইক্লিং, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, বারবিকিউ ও স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা।

ঢাকার গুলিস্থান থেকে বাস অতঃপর অটোরিকশায় ক্যাম্পসাইট ক্যাফে আসতে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকার মত। এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকেও সিএনজি যোগে এই ক্যাফেতে যাওয়া যায়; প্রায় একই রকম খরচ পড়বে।

পদ্মহেম ধাম, মুন্সিগঞ্জ

ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের পদ্মহেম ধাম জায়গাটিতে লালন সাঁইয়ের পদধূলি না পড়লেও তার ভক্ত প্রথম আলো’র সাংবাদিক কবির হোসেন সাঁইয়ের স্মরণে গড়ে তুলেছেন এই আখড়াটি। ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত এই ধামটিতে ক্যাম্পিং করে একটি রাত কাটানো সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ সঞ্চয় হতে পারে। বালুচর গ্রামের ভেতরে অবস্থিত এ জায়গাটিকে গ্রামবাসীরা বাউল বাড়ি বলে ডাকে।

ঢাকার যাত্রাবাড়ী দিয়ে প্রথমে পোস্তগোলা, সেখান থেকে মোল্লার বাজার এসে নদী পার হতে হবে। এরপর পাওয়া যাবে পদ্মহেম ধামের গাড়ি। পুরো যাত্রায় সিএনজি ও নৌকা ভাড়া পড়তে পারে প্রায় ২৫০ টাকার মত।

বালুনদী, ঢাকা

এ জায়গাটি ঢাকার একদম প্রাণকেন্দ্র গুলশানে অবস্থিত। নতুন বাজারের ভাটারা থানা থেকে সিএনজিতে মাত্র ২০ মিনিটের পথ ১০০ ফুট রাস্তার শেষ প্রান্তের বেরাইদ। সেখানেই দেখা মিলবে ৩০ ফুট প্রশস্ত এই ক্যাম্পিং সাইট। সিএনজি ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ২৫ টাকা।

এখানে ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি রয়েছে বারবিকিউয়ের সুবিধা। শহরের আলো নিভে যাবার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পের ভেতরে অথবা বালুনদীতে ট্রলার দিয়ে ভ্রমণের সময় নিঃসঙ্গ নদীতে অভিজ্ঞতাটুকু চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

৩০০ ফিটের হ্যালিপ্যাড চত্ত্বর, ঢাকা

ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক ও এর আশপাশ ইতোমধ্যে দর্শনার্থীদের বেশ প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে। এখানকার হ্যালিপ্যাড চত্ত্বর ক্যাম্পিং ভ্রমণের জন্য সেরা। ঢাকার মত হৈচৈয়ের শহরেও এখানে মিলবে ঘুটঘুটে অন্ধকার ও পিনপিতম নিরবতা। বাংলাদেশের কোন পাহাড়ি অঞ্চল অথবা কোন নির্জন দ্বীপে ক্যাম্পিংয়ের জন্য এখানকার ক্যাম্পিংটি প্রাথমিক অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করবে।

কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে ৯নং সেক্টরের বাসস্ট্যান্ড বা নিলা মার্কেটের পরে নেমে অটোরিকশাতে করে হ্যালিপ্যাড চত্ত্বর। খরচ পড়বে প্রায় ৩০ টাকা।

ক্যাম্পিংয়ের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

দুঃসাহসিক অভিযানেও প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি ও যথাযথ সর্তকতা, নতুবা পুরো ভ্রমণটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্যাম্পিংয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের মধ্যে যেগুলো অবশ্যই তালিকাভুক্ত করতে হবে সেগুলো হলো ফার্স্ট এইড কিট, টর্চ, পাওয়ার ব্যাংক, যথেষ্ট পরিমাণে পলিথিন, রিচার্জেবল লাইট, পোকা-মাকড় নিরোধক, সর্বোপরি একটি টেকসই, হালকা ও সহজে বহনযোগ্য তাবু। ক্যাম্পিংয়ের আনন্দ আরেকটু বাড়িয়ে নিতে হ্যামক নেয়া যেতে পারে। শীতের ক্যাম্পিংয়ের জন্য শীতের পোষাক নেয়াটা জরুরি। তবে অবশ্যই ব্যাকপ্যাক যাতে ভারি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ক্যাম্পিংয়ের সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট ও অন্যান্য অতিরিক্ত জিনিসপত্র যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট না করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

সাবধানতার ক্ষেত্রে, ক্যাম্পিংয়ের প্রথম শর্ত হচ্ছে দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করা। দলের মধ্যে স্থানীয়দের কেউ থাকলে উত্তম। তবে না থাকলে স্থানীয়দের কারো যোগাযোগের নম্বর রাখা যেতে পারে। এছাড়া স্থানীয় থানার নাম্বারও সংগ্রহে থাকা উচিত।

সবশেষে, ক্যাম্পিং মানেই নিত্য নৈমিত্তিক আবাসন সুবিধাগুলোর ঘাটতি থাকবে এবং পরিবর্তন আসবে যে কয়দিন ক্যাম্পিং করা হচ্ছে সে কয়দিনের জীবন ধারণে। যারা এটা জেনেই ক্যাম্পিংয়ের পরিকল্পনা করছেন তারা যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে তবেই বের হবেন। এরপরেও বর্তমানের রিসোর্টগুলো যেরকম কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করছে সেগুলোতে আসল ক্যাম্পিংয়ের কোন স্বাদই অবশিষ্ট থাকে না। ওগুলোকে ক্যাম্পিং না বলে একটু ব্যতিক্রমধর্মী অভিজাত স্যুইট বলা যেতে পারে। কিন্তু যেগুলো কোন রিসোর্ট বা রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন নয় সেগুলোতে পাওয়া যেতে পারে ক্যাম্পিংয়ের আসল আমেজ। বিশেষ করে মায়াদ্বীপ, আড়াইহাজারের চৌদ্দার চর, ঢাকার বালুনদী ও ৩০০ ফিট রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিংয়ের উপযুক্ত জায়গা। তবে এ জায়গাগুলোতে ক্যাম্পিংয়ের জন্য অবশ্যই স্থানীয়দের অনুমতি নিয়ে নিতে হবে।

এখন সময় দেশটাকে ফুলে ফুলে ভরিয়ে তোলার
08/08/2024

এখন সময় দেশটাকে ফুলে ফুলে ভরিয়ে তোলার

03/06/2024
উন্মুক্ত পার্ক বা অন্যান্য সবুজ স্থানের সংস্পর্শে মানবকোষের বয়সের ছাপ কমে যায়। সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্টে প্রকাশ...
09/12/2023

উন্মুক্ত পার্ক বা অন্যান্য সবুজ স্থানের সংস্পর্শে মানবকোষের বয়সের ছাপ কমে যায়। সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্টে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, যারা বেশি সবুজ স্থানের আশপাশে বসবাস করেন, তাদের দীর্ঘ টেলোমেরেস রয়েছে, যা দীর্ঘ জীবন ও ধীর বার্ধক্যের সাথে যুক্ত। টেলেমোর ক্রোমোজমের শেষ প্রান্তের একটি ডিএনএ অংশবিশেষ। টেলোমেরেস এমন কাঠামো, যা প্রতিটি কোষের ৪৬টি ক্রোমোজমের শেষ প্রান্তে অবস্থান করে। জুতার ফিতে দুই প্রান্তে যেমন প্লাস্টিকের টুপি থাকে তেমনি টেলোমেরেস ক্রোমোজমের ডিএনএকে উন্মোচন থেকে বিরত রাখে। একটি কোষের টেলোমের যত দীর্ঘ হবে, তত বেশি তা প্রতিলিপি করা যাবে। যখন টেলোমেরেস ছোট হয়ে যায়, তখন কোষ বিভক্ত হতে পারে না, কোষ মারা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার বিজ্ঞানী অ্যারন হিপ বলেন, নতুন গবেষণা বলছে আমরা কোথায় থাকি, আমরা কিসের সংস্পর্শে আসি, আমরা কতক্ষণ ব্যায়াম করি, আমরা কী খাই, সবই টেলোমেরের গতি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে আমাদের বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় প্রভাব দেখা যায়। লম্বা টেলোমের সাধারণত ছোট টেলোমেরের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয়, সহায়তা দেয় বেশি। লম্বা টেলোমের কোষকে বার্ধক্যপ্রক্রিয়া থেকে রক্ষা করে। সবুজ স্থান শারীরিক কার্যকলাপ ও ব্যক্তির সাথে আশপাশের মানুষের মিথস্ক্রিয়াকে উৎসাহিত করে। এতে ভালো স্বাস্থ্যগত ফলাফল পাওয়া যায়। প্রচুর গাছ ও সবুজের আশপাশের এলাকা প্রায়শই শীতল, বন্যার থেকে যেমন প্রতিরোধী হয় তেমনি বায়ুদূষণের হার কম থাকে।
গবেষণায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন। যারা দূষণের শিকার সবুজ এলাকায় বাস করেন, তাদের টেলোমেরেসের দৈর্ঘ্য ছোট দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা ১৯৯৯ ও ২০০২ সালের পরিচালিত জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত এক জরিপের তথ্যাদি বিশ্লেষণ করেন।
গবেষণায় সাত হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের জৈবিক নমুনা থেকে টেলোমেরের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয়। সবুজ স্থানে যারা বাস করেন, তাদের বার্ধক্যের কোষের বৃদ্ধি হ্রাস পেতে দেখা যায়। ৫ শতাংশ সবুজ বৃদ্ধি করলে ১ শতাংশ কোষের বৃদ্ধি কমে যেতে দেখা যায়। এলাকা যত সবুজ হবে, কোষের বয়স তত ধীর হবে।

23/11/2023

দেশের অভ্যন্তরে এখন প্রায় এক কোটি পর্যটক রয়েছেন যাদের ৭০%-৮০% নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, এই চার মাসে ভ্রমণ করে থাকেন।

কক্সবাজারে পর্যটকরা এবার ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারবেইউরোপ-আমেরিকার মতো এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারব...
11/11/2023

কক্সবাজারে পর্যটকরা এবার ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারবে
ইউরোপ-আমেরিকার মতো এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা। এর জন্য দুটি ট্যুরিস্ট বাস এনেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এই দুটি বাস চলবে কক্সবাজারের পর্যটন জোন থেকে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে। এই ট্যুরিস্ট বাস দুটি আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় পর্যটন রাজধানী। তাই দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করতে প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই এবার দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করতে নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বাসের। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকালে লাল-সবুজ রঙের দুটি ছাদখোলা বাস জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাস দুটির গায়ে বিআরটিসি লেখা রয়েছে এবং একটি বাসে কক্সবাজারের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর স্টিকার লাগানোর পাশাপাশি ট্যুরিস্ট বাস লেখা রয়েছে। বাস দুটি দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বেশি মানুষ বাস থেকে নামে। তাদের গলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কার্ড ঝোলানো রয়েছে।

এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছে বলে জবাব দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ছাদখোলা বাস দুটি এখন থেকে কক্সবাজার চলাচল করবে। যার জন্য এই বাসগুলো এখানে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন দুটি ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস লিজ নিয়েছে। এখন থেকে এই ট্যুরিস্ট বাসগুলো কক্সবাজারে চলাচল করবে। বাস দুটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পরিচালনা করবে।

তিনি বলেন, দুটি বাসের মধ্যে একটি কক্সবাজার সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের নিয়ে রেজুখাল ব্রিজ পর্যন্ত যাবে। এরপর তাদের তুলে দেয়া হবে ব্রিজের অপরপ্রান্তে অবস্থান করা ট্যুরিস্ট বাসে। এই বাস মেরিন ড্রাইভের পাতুয়ারটেক পর্যন্ত চলাচল করবে। দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভে যেসব পর্যটন স্পট রয়েছে সেখানে থামবে এবং পর্যটকদের তা ঘুরে দেখানো হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্রতিটি বাসে ৫৫ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাসগুলোতে থাকছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। আশা করি, পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে এই ট্যুরিস্ট বাস।

তবে, ভাড়া কত বা কখন থেকে চালু হবে এটি উদ্বোধনের পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন।

টানা ৩ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে কক্সবাজারেবিশ্ব পর্যটন দিবসকে উপলক্ষে করে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে কক্সবাজার...
24/09/2023

টানা ৩ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে কক্সবাজারে

বিশ্ব পর্যটন দিবসকে উপলক্ষে করে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে সপ্তাহজুড়ে উৎসব। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে। আর আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর রয়েছে টানা ৩ দিনের ছুটি। তাই এবার লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে এমন আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে তারকামানের হোটেলগুলোর শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঙাভাব ফিরবে পর্যটন ব্যবসায়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, বিশ্ব পর্যটন দিবসের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে সার্কাস প্রদর্শনী, বিচ বাইক র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল ও কনসার্ট থাকছে।

আর কার্নিভালে দর্শক মাতাবে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল চিরকুট, আভাস, সুনামগঞ্জের শাহ আবদুল করিমের দল, কুষ্টিয়ার লালন গীতির দল, সিলেট, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহের পালা গানের দলসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশন করবেন তিন পার্বত্য জেলা- বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।
বালুকাবেলায় নোনাপানির ফেনিল ছাপ স্পষ্ট। সমুদ্রের গর্জন ধেয়ে আসে কিনারে। আছড়ে পড়ে ঢেউ। বালুকাবেলার গর্ত থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত লাল কাঁকড়া দল। একে অপরের সাথে মেতেছে খুনসুঁটিতে। প্রকৃতিও বলে দিচ্ছে শীত আসছে, নিজের মতো করে নতুন সাজে সাজছে সৈকতের চারপাশ।

একদিকে শুরু হচ্ছে টানা ৩ দিনের ছুটি, তার সাথে শুরু হচ্ছে সপ্তাহজুড়ে উৎসব। তাই সৈকত নগরীও সাজছে নতুন সাজে। চারদিকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

সৈকতে লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, লাবণী মঞ্চের সামনে সড়কের দুপাশে তৈরি হচ্ছে স্টল। হোটেল কল্লোলের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষেও দোকানপাট বসানো হচ্ছে। তিন রাস্তার মুখে বসানো নৌকা থেকে কিছু দূরে নির্মিত হচ্ছে মঞ্চ।

সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, হাজারো পর্যটক এক সাথে আনন্দে মেতেছেন। কলাতলী মোড়ে সৈকতে যার যার মতো করে গোসল করছে ও আনন্দ উপভোগ করছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, এখন থেকে কক্সবাজারে যেভাবে পর্যটক আসতে শুরু করেছে তাতে পর্যটন কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে লাভবান হবেন।

সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা উপলক্ষে হোটেল, মোটেল, পরিবহন ব্যবস্থা ও রেস্তোরাঁর মালিকরাও দিচ্ছেন আকর্ষণীয় ছাড়। হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে। সকল রেস্তোরাঁয় খাবারের ওপর ও সব বাস ভাড়ার ওপর ১৫ ও ২০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়াও হেলিকপ্টারে জয় রাইড, টিউব ভাড়া, কিটকট চেয়ার ভাড়া, প্যারাসেইলিং রাইড, জেটস্কি/বিচ বাইক, লকার ভাড়া, গাড়ি পার্কিং ছাড়সহ চাঁদের গাড়ি ভাড়া ও বিমান ভাড়াতেও থাকছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা।

এরই মধ্যে আগামী ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিনের ছুটিতে শতভাগ বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছে তারকামানের হোটেলগুলো।

হোটেল সী-গালের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বী বলেন, টানা ছুটি ও সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভালকে কেন্দ্র করে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে হোটেলকে। টানা ৩ দিনের ছুটিতে হোটেল শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করি, পর্যটকরা যেমন আনন্দ পাবে ঠিক তেমনি ভালো ব্যবসাও হবে।

হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইসের ফ্রন্ট অফিসার একে রানা বলেন, পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে ছাড় দেয়ায় টানা ৩ দিনের ছুটিতে সব রুম বুকিং হয়েছে। এখন পর্যটকরা এলে তাদের স্বাগত জানাব।

প্রশাসন বলছে, উৎসবে ভিন্নতা আনতে আয়োজনে আনা হচ্ছে নতুন মাত্রা। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন স্পট। যা সাজানো হয়েছে রঙ্গিন ছাতায়। একই সাথে সৈকতের বালুকাবেলায় তৈরি হচ্ছে বালু ভাস্কর্য।

ভাস্কর্য শিল্পী শেখ রাসেল বলেন, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দুটি বালু ভাস্কর্য নির্মিত হবে। একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অপরটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আশা করি, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শেষ হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন বলেন, সাত দিনব্যাপী চলা এই পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালে কক্সবাজারসহ দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। বিশ্ববাসীর সামনে কক্সবাজারকে উপস্থাপন করতেই এ মেলার আয়োজন। আশা করি, এ আয়োজনে উৎসবের নগরীতে পরিণত হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিললুর রহমান বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সৈকতে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম আশা করা হচ্ছে। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Address

520, Lake City Concord Shopping Complex, Khilkhet
Dhaka
1229

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801844118824

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ucchash Tours - উচ্ছ্বাস ট্যুরস posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ucchash Tours - উচ্ছ্বাস ট্যুরস:

Share

Category