Bohubachan - Drama Group

10/11/2024

🎭 হুমায়ূন আহমেদের ৭৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ নাটক!🎭

আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ -এর জন্মদিন উপলক্ষে, বহুবচন নাট্যদল মঞ্চস্থ করছে তাঁর অসাধারণ নাটক "আমি এবং আমরা"। এই নাটকটি পরিবারে ৩য় লিঙ্গের মানবিক গল্প তুলে ধরবে, যা আপনাকে গভীরভাবে ভাবাবে এবং হৃদয়ে ছুঁয়ে যাবে।

📅 তারিখ: ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার
⏰ সময়: সন্ধ্যা ৭টা
📍 স্থান: শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা

আপনার প্রিয়জনদের নিয়ে আসুন এবং এই অনন্য নাটক উপভোগ করুন।

🎟️ টিকিট বুক করতে এখনই যোগাযোগ করুন! 🎟️
📞 ফোন: ০১৫২১২১৭৬১৭

#বহুবচন #হুমায়ূনআহমেদ #আমি_এবং_আমর #নাটক #ফ্যামিলি_নাইট #শিল্পকলা_একাডেমি

13/04/2024

02/02/2024

বহুবচন নাট্যদল প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর “শুভ জন্মদিন“

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর
নয় মাসের যুদ্ধ আর ৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে জন্ম হলো স্বাধীন বাংলাদেশের।

১৯৭২সালে ২ ফেব্রুয়ারী
হাতের রাইফেল রেখে একদল মুক্তিযোদ্ধা নাট্যদল ‘বহুবচন’ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে যোগ দিলেন। নতুন দেশ, নতুন সমাজ, নতুন সংস্কৃতি গড়ার নতুন এক যুদ্ধে।
“আমাদের নাটক মানে শুধু নাটকীয়তা নয়, নাটকের চিরাচরিত আঙ্গিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ”।
এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হলো ‘বহুবচন’। আত্মপ্রকাশ ঘটলো স্বাধীন বাংলাদেশের নাটকের ইতিহাসে প্রথম নাট্যদলের। রফিক নওশাদ, দুলাল রহমান, মোতাহার হোসেন, মুজিব বিন হক, আরহাম আলো, ফরহাদ মজহার, শাহনূর খান, আলিমুজ্জামান দুলু, সেলিম আল-দীন, রইস উদ্দীন ভূঞা, ফজলুর রহমান ঝিনু, হাফিজুর রহমান, হাবিবুল হাসান,
আল মনসুর, ম হামিদ, বিপ্লব দাস, মুহম্মদ কামাল উদ্দিন, আখতার উন-নবী, রফিকুজ্জামান, সাযযাদ কাদির, ফজলে
সোবহান চৌধুরী, শামছুল হক মোহন, আমিরুল হক চৌধুরী, সালেহ আকরাম, সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, শাহজাহান
চৌধুরী, শফি, রেদওয়ানের হাত ধরে- ‘বহুবচন’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হলো স্বাধীনতা উত্তর বাংলার নব নাট্য
আন্দোলনের সুচনা। ১৯৭২ সালে ৩ জুন
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বহুবচন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে
দর্শনীর বিনিময়ে কবি ফরহাদ মজহার এর রচনায় ও মোতাহার হোসেন এর নির্দেশনায় নাটক
“প্রজাপতির লীলালাস্য” মঞ্চায়ন করলো।
১৯৭২ সালে বহুবচন আরও তিনটি নাটক মঞ্চায়ন করে। শাহনুর খান রচিত “আমি রাজা হব না” ও “সভাপতি বলবেন” এই নাটক দুটির নিদের্শনায় ছিলেন মুজিব-বিন-হক। নাট্যকার সেলিম আল-দীন এর প্রথম মঞ্চ নাটক “সর্প বিষয়ক গল্প”র নির্দেশনায় ছিলেন আমিরুল হক চৌধুরী।

১৯৭৩-
বহুবচন নিয়ে আসে “নিরঞ্জন ফিরে এসো”
যার নাট্যকার ছিলেন সালেহ আকরাম, নির্দেশনায় মুজিব-বিন-হক।

১৯৭৪-
সাজ্জাদ কাদিরের “সারে সাতশ সিংহ’ নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন মুজিব-বিন-হক। “বিপন্ন ধারাপাত” রচনা করেন আবু বাকার, নির্দেশনা কাফি খান।

১৯৭৫ সালে হুমায়ুন আহমেদকে প্রথম মঞ্চে নিয়ে আসে বাহুবচন।
“নন্দিত নরকে” উপন্যাসটির নাট্যরূপ দেন জাফর ইকবাল, আর নির্দেশনায় ছিলেন মুজিব-বিন-হক।
১৯৭৬-এ কবি ফরহাদ মজহারের “ঘাতক দেশকাল” বহুবচন মঞ্চস্থ করে।
৭৮তে সাঈদ আহমেদের “প্রতিদিন একদিন”।
৭৯তে মনোজ মিত্রের “নেকড়ে” ও “চাক ভাঙা মধু”।

বহুবচনের ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশের নাট্যচর্চার শুরুর ইতিহাস। এদেশের শিল্প-সংস্কৃতির পথিকৃৎ- যাদের হাত ধরে বহুবচনের যাত্রা শুরু... বহুবচনের ৫০তম বর্ষপূর্তিতে তাঁদের প্রতি শদ্ধ্রাভরা ভালবাসা। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার চর্চায় “বহুবচনের ভূমিকা অগ্রপথিকের মতো। বহুবচন গড়ে তোলার পেছনের স্বপ্ন এবং লক্ষ্য ছিল সদ্য স্বাধীন দেশে গ্রæপ থিয়েটার আন্দোলন গড়ে তোলা। যে প্রতিশ্রæতিবান তরুনেরা বহুবচনের হয়ে নাট্য কর্মকান্ডের সূচনা করেছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন বাংলার খ্যাতনামা নাট্যকার, নির্দেশক ও নাট্যাভিনেতা।
আশির দশকের শুরু থেকে বহুবচন তিনটি সফল প্রযোজনা মঞ্চস্থ করে। ইডিপাস, তিন পয়সার পালা ও স্বদেশী নকসা। নির্দেশনায় ছিলেন কামাল উদ্দিন নিলু। এই সময় একটি পথ নাটকও মঞ্চস্থ হয়।
১৯৯৪ সালে হুমায়ুন আহমেদের দেবী উপন্যাসকে মঞ্চে নিয়ে আসেন ইকবাল হোসেন। ১৯৯৫ সালে মঞ্চস্থ হয় রুহুল আজাদ চৌধুরী লেখা নাটক “স্বপ্ন লোকের চাবী”। ১৯৯৬ সালে নতুন করে মঞ্চে আসে “তিন পয়সার পালা”। ১৯৯৯ সালে আরহাম আলো’র নির্দেশনায় ইকবাল হোসেনের নাট্যরূপ দেয়া “দেবী” নাটকটির আবার পূনর্জাগরণ হয়। দুই বাংলা মিলে এ পর্যন্ত ১২৫তম মঞ্চায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
২০০২ সালে আরহাম আলোর নির্দেশনায় পশ্চিমবঙ্গের নাট্যকার চন্দন সেনের “দায়বদ্ধ” মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি ২০০৫ সালে গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত উৎসবে অংশ নেয়। সুধীনাট্যজন সহ সকলের কাছে এই নাটকটি যথেষ্ট সুনাম ও দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে।
২০০৮ সালে ভারত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য সূদৃঢ় করতে নদীয়ার অন্যতম নাট্য সংগঠন ‘হ য ব র ল’
আয়োজিত পশ্চিমবঙ্গের চাকদহে “চাকদহ নাট্য মেলা-২০০৮” এ অংশ নেয়। নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রতিথযশা অভিনেতা নাট্য ব্যক্তিত্ব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। উৎসবের শেষ দিনে কথা সাহ্যিতিক হুমায়ুন আহমেদের “দেবী” মঞ্চায়ন হয়। নাটকের অভিনয়শৈলী ও সামগ্রিক উপস্থাপনা বোদ্ধা নাট্যজন ও দর্শকের কাছে সমাদৃত হয় এবং ভ‚য়সী প্রসংশা লাভ করে।
সময় এগিয়ে চলে। নতুনের মাঝে পুরাতন মিশে গিয়ে নতুন হয়ে ধরা দেয়। যারা বহুবচনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তাদের অনেকেই আর আমাদের মাঝে নেই।
শাহনর খান, দুলাল রহমান, আলিমুজ্জামান দুলু, নাট্যকার সেলিম আলদ্বীন, হাবিবুল হাসান, বিপ্লব দাস, আখতারুন্নবী, লেখক সাজ্জাদ কাদির, সামছুল হক মোহন, সাংবাদিক রাহাত খান, মোঃ ইকবাল হোসেন
তারা না থেকেও আমাদের মাঝে আছেন। আমাদের পথচলায়। আজ এবং আগামীতে।

মনুমাসুদ - নাট্যকর্মী - বহুবচন

29/12/2023

HAPPY NEW YEAR
নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বহুবচন নাট্যদলের নতুন নাটকের আনন্দ উৎসব।

12/11/2023

আজ ১৩ নভেম্বর নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিনে তাঁকে বহুবচনের শুভেচ্ছা। আমরা আজ মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছি তাঁর লেখা মিসির আলী সিরিজের সেরা উপন্যাস “আমি এবং আমরা“।

আপনাদের সাদরে আমন্ত্রণ...🫶

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিনে বহুবচনের নাটক ‘আমি এবং আমরা’ মঞ্চায়ন হবে শিল্পকলা একাডেমির জ...

09/11/2023

হুমায়ূন আহমেদ এবং বহুবচন

নন্দিত নরকে
নাটক জীবনের এক অনির্বাচনীয় সত্যকে মুখোমুখি করে। সাহিত্যের অন্যতম শাখা হিসাবে এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের সাহিত্যকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার অভিপ্রায়ে বহুবচন জনপ্রিয় লেখক নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদকে প্রথম বারের মত পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য তারই জনপ্রিয় উপন্যাস নন্দিত নরকে মঞ্চায়নের প্রস্তুতি নেয়। এই উপন্যাসটি ১৯৭২ সালে মাসিক মুখপত্র এর ১ম বরষের ৩য় সংখ্যায় প্রকশিত হয়। উপন্যাসটির ভূমিকা লিখেছেন ডঃ আহমেদ শরীফ। ১৯৭৫ সালে ডঃ জাফর ইকবাল উপন্যাসটির নাট্যরূপ দেন এবং ঐ বছর মহিলা সমিতি মঞ্চে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়। নাটকে অভিনয় করেছিলেন - এ্যানী, কবীর, রানুপন্নী, রফিক নওশাদ, দুলাল রহমান, আরহাম আলো।
নির্দেশনায়-মুজিব বিল হক। নন্দিত নরকে নাটকটি, সুধিমহল ও সংবাদপত্রে প্রশংসিত হয় ও পুরস্কার লাভ করে।
দেবী
নব্বই দশকে তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘‘দেবী’’ মঞ্চায়নের জন্য হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে গেলে তিনি উদার ভাবে সম্মতি দেন এবং বলেন আমার নাটক লেখার অনুপেরনা তো ‘‘বহুবচন’’। আমার যে কোন নাটক আপনারা নাট্যরূপ দিয়ে মঞ্চস্থ করতে পারেন। আপনাদের প্রতি আমরা আন্তরিক বিশ্বাস আছে। মোঃ ইকাবল হোসেন, দেবী উপন্যাসটির নাট্যরূপ দেন এবং ১৯৯৪ সালে প্রথম মঞ্চায়ন হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতে মোট ১২০টি শো করা হয়। ভারতের দর্শকরা এই ভিন্ন ধারার নাটকটির জন্য প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর ভূয়সি প্রশংসা করেন।
এমনিভাবে কিংবদন্তি নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদকে মঞ্চ নাটকের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ধরে রেখেছে ‘‘বহুবচন’’।
বহুবচন (নাট্যদল) - উইকিপিডিয়া (wikipedia.org)

আগামী ১৩ নভেম্বর ২০২৩ আমাদের প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিনে বহুবচন মঞ্চায়িত করতে যাচ্ছে তাঁর লেখা “আমি এবং আমরা“। নাট্যরূপ দিয়েছেন- মনু মাসুদ এবং নির্দেশনায় আছেন শ্রদ্ধেয় আরহাম আলো, প্রযোজনা অধিকর্তা তৌফিকুর রহমান।

আমি এবং আমরা
হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস আমি এবং আমরা।
নাটকটি ভৌতিক ও রহস্যে ভরা।
মিসির আলী অসুস্থ। চড়ুই পাখি নিয়ে ব্যস্ত। ডা: সম্পূর্ণ রেষ্টে থাকতে বলেছেন। পার্কে বসে বাচ্চাদের খেলা দেখছেন। এমন সময় একটি ছেলে আসে রহস্যময়। গল্প শোনাতে চায়, প্রেমের গল্প। মিসির আলি কোন গল্পই শুনতে চায় না। ছেলেটি মিসির আলিকে গল্প শোনাতে আগ্রহী করে তোলে… তাকে গল্প শোনায়। দু-দুটি খুনের গল্প। এবং আরেকটা প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
মিসির আলি যৌক্তিক মানুষ। তিনি গল্প শোনেন। ছেলেটির শৈশবের ভয়ংকর গল্প তাঁকে রহস্যময়তার জালে বেঁধে ফেলে। কেন তার মা চার বছর বয়সে মেরে ফেলতে চেয়েছিল…. কেন তার বাবা তাকে দেখতো না, কথাও বলতো না… মাস্টার নামের একটি ভুত কেন তাকে দিয়ে তার বাবা ও তার চাচাকে খুন করালো….

রহস্যময়তা এবং ভৌতিকতার ভিন্ন অনুভুতির এই নাটকটি দেখার জন্য পরিবারের সবাইকে আমন্ত্রণ করছি।

12/03/2023

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে "ক্যাপাস থিয়েটারের" নাট্য উত্সব চলছে।
প্রায় ২২ টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য গ্রুপ নিয়ে এই উত্সব।
আজ যশোর কলেজ নাট্য বিভাগের নাটকের অনুস্ঠানে
"বহুবচন" এর দলপ্রধান জনাব তৌফিকুর রহমানকে
প্রধান অতিথি ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।
দলপ্রধানের বক্তব্যে ৭২ সাল থেকে বহুবচন এর ইতিহাস তুলে ধরেন।
আমরা বহুবচন অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
বহুবচনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সকল নাট্যকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

30/01/2023