Gharoa Caterer

Gharoa Caterer Homely Event Catering & Cloud Kitchen: Delightful Dishes, Delivered.

ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ও যদি পান ঘরের ছোঁয়াকেমন হয় বলুন তো??একেবারেই ঠিক দেখছেন।এবার ঘরোয়া নিয়ে এলো আপনাদের জন্য একেবারে ঘরের তৈরি সুস্বাদু খাবার। বসন্ত হোক কিংবা পৌষ পর্যটকদের সব সময়ের পছন্দের জায়গা কিন্তু বোলপুর।কেউ আসেন এখানে শান্তিনিকেতন দেখতে আবার কেউ বা আসেন সোনাঝুরি। কিন্তু চেনা জানা না থাকলে পড়তে হয় সমস্যায়,কোথায় খাবেন আর খেলেও ঘরের তৈরি জিনিস কোথায় পাবেন?আসলে বাঙ্গালীদের একটা ব্য

াপার ই আলাদা বাইরে গেলেও ঘরের পরিবেশটাকে কোথাও যেনো মিস করে।এবার আপনি এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে, এখানে এসেও যদি নিজেকে রান্না করে খেতে হয় তাহলে ঘুরবেন কখন আর যদি বাইরে খান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুস্বাদু খাবার পাবেন কোথায়?আপনাদের এই সমস্যা দূর করতে বোলপুরে ঘরোয়া নিয়ে এলো আপনাদের জন্য ঘরের তৈরি হাতের বানানো সুস্বাদু খাবার। আর সব থেকে খুশির বিষয় হলো আপনি যেমন বা যে ধরনের পদ খেতে চান, সেই খাবার ই ঘরোয়া হাজির করবে আপনাদের সামনে।অল্প সংখ্যক অর্থাৎ ছোটো গ্রুপ গুলি যারা বেড়াতে আসেন বোলপুরে,তাদের চাহিদা অনুযায়ী একেবারে ঘরের মতন করে পরিবেশন করবে ঘরোয়া।এছাড়াও ঘরোয়া দিচ্ছে আরো এক সুবিধা, জন্মদিন ও বিবাহ বার্ষিকীর মতন অনুষ্ঠানগুলিতেও আপনারা পাচ্ছেন ঘরে বসে ঘরোয়ার সুস্বাদু খাবার।তাহলে আর চিন্তা কিসের?এবার ঘর থেকে বাইরে এসেও উপভোগ করুন ঘরের ছোঁয়া।

আপনাদের সকলকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানাই...
16/08/2025

আপনাদের সকলকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানাই...

আপনাদের সকলকে রাখি পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।
09/08/2025

আপনাদের সকলকে রাখি পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।

|| পনীর মিক্সড ভেজ ll“এই কালকে কিন্তু তোরা তাড়াতাড়ি চলে যাবি আমার নতুন ট্যাব টা দেখাব তোদের,“  বলেই দুহাত নেড়ে টাটা করে ...
20/07/2025

|| পনীর মিক্সড ভেজ ll

“এই কালকে কিন্তু তোরা তাড়াতাড়ি চলে যাবি আমার নতুন ট্যাব টা দেখাব তোদের,“ বলেই দুহাত নেড়ে টাটা করে বাস থেকে নেমে গেল বছর দশের মান্তু,
মান্তু টা ওর ডাকনাম,ভালোনাম স্রোতস্বিনী মজুমদার, আইসিএসসি বোর্ডের ক্লাস ফাইভের স্টুডেন্ট । কালকে ওদের বাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজোর অন্নকূট । তাই ওর সব বন্ধুদের নেমতন্ন করার অনুমতি পেয়েছে। বাড়ির ভেতরে জোর কদমে আগামীকালের প্রস্তুতি চলছে, বাসন ধোয়া, সবজি কাটা আরও কত রকমের ব্যস্ততা। মজুমদার বাড়ির নাম এই এলাকায় মোটামটি পরিচিত তাদের বহু পুরনো অন্নপূর্ণা হোটেলের নামে।সেখানের বিশেষ মেনু পনীর মিক্সড ভেজ হল এই অন্নকূট ভোগের মূল আকর্ষণ। আসলে প্রাচীন ভারতীয় রান্নায় বহু রকমের সবজি একসাথে হত। আয়ুর্বেদ বলে, নানা ধরনের সবজি একসাথে খেলে শরীরের নানা দিকের ভারসাম্য রক্ষা হয়। বৌদ্ধ ও জৈন প্রভাবিত অঞ্চলে শাকাহার ভিত্তিক খাবারগুলো অনেক পুরনো, যেখানে সবজি ভিত্তিক থালির গুরুত্ব ছিল একসময় । সেইভাবেই কোন পথে এদের ভোগের থালায় এসে পরেছে পনীর মিক্সড ভেজ।
পরদিন সকালে মান্তুর সমস্ত বন্ধুরা এলেও হাবিবা এলো না, এত করে কালকে বলে আসার পরেও হাবিবার না আসা যেন শরতের সাদা আকাশে কিউমূলোনিম্বাস মেঘ তৈরি করল মান্তুর মনে। বন্ধুদের গসিপ কনভারসেশনে জানা গেল হাবিবা কে নাকি ওর বাড়ি থেকে আসতে দেয়নি, ওর মায়ের প্রথম থেকেই এই নিয়ে আপত্তি তা মান্তু শুনেছে , ও এলে নাকি সব ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে যাবে। যাইহোক, সবাইকে ওর নতুন ট্যাব দেখায়। পুজো শেষে ভোগ দেওয়া হলে বন্ধুরা সবাই খেয়ে যে যার বাড়ি চলে যায়। সমস্ত কাজ মিটিয়ে ওরা বাড়ির সকলে যখন খেতে বসে, তখন ওদের বিশেষ ভোগ পনীর মিক্সড ভেজ পাতে দিতে এলে মান্তু হাত নাড়িয়ে না করে দেয়। তাই দেখে দাদু বলে ওঠেন - এটা কী হল ! জানো, এই রান্না কবে থেকে শুরু হয়েছে! বলি শোন। আমাদের দেশে প্রথম মুঘলরা ভারতীয় রান্নায় নানা ধরনের সবজির মিশ্রণ করেছিল। তারপর এল ব্রিটিশরা, ওদের সময় থেকে "মিশ্র সবজি" বা "stew" ধরনের কিছু খাবার জনপ্রিয় হল, যার ধারাবাহিকতায় “মিক্সড ভেজ”এল নতুন এক রেসিপি হয়ে ওঠে ।১৯৫০-এর দশকের পর রেস্তোরাঁ সংস্কৃতি যখন শহরাঞ্চলে বিস্তার পায়, তখন থেকেই "মিক্সড ভেজ" নামক একটি নির্দিষ্ট ডিস জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এবার তখনও কিন্তু পনীর দেওয়া হত না কারণ গরুর দুধ থেকে তৈরি হত তাই ভারতীয়রা পনীর খেত না। কিন্তু মুঘলরা আসার পর সেই পনীরের স্বাদ বুঝে এই ভারতীয়রাই পনীরকে যুক্তরাজ্য, কানাডা, আমেরিকা সহ বিশ্বের নানা দেশে পরিচয় করালো । আর এই মিক্সড ভেজ-এ পনীর যোগ হল ৮০-৯০ দশকে, যখন নর্থ ইন্ডিয়ান থালি ও “মালাই কোফতা” জাতীয় পনীর -নির্ভর খাবারগুলো সারা দেশে জনপ্রিয় হল। সবথেকে মজার এবং গর্বের বিষয় হল আমাদের বাড়িতে ১৯৫০-এর অনেক আগে থেকেই এই ভোগ হত। বাবারা বলতেন, মুঘলিয় কায়দায় নাকি রান্না করা হত এই ভোগ ।এখনও সেই রীতি মেনেই রান্না চলছে আর ১৯৫২ এ যখন আমাদের রেস্তোরাঁ ‘অন্নপূর্ণা’ খোলা হল আর তার বিশেষ পদ হিসেবে রাখা হল এই পনীর মিক্সড ভেজ , সেই বছর থেকে শুরু হল নরনারায়ণ সেবা, কত দূর দুরান্ত থেকে লোক আসত এই ভোগ খেতে।“ কথাটা শুনে খানিক ভেবে মান্তু প্রশ্ন করল- “আচ্ছা দাদু! মুঘল মানে তো মুসলিম তাই নাহ! মুসলিমরা কি নরনারায়ণ হয় না?
সবাই মান্তুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল সত্যিই তো তাই নরনারায়ণ মানে যদি মানুষ হয় তাহলে ওরা নয় কেন!
তারপর ও আবার বলল, আমর বেস্টফেন্ডকে মা আসতে বারন করল কেন তাহলে? ও কি নরনারায়ণ নয়! এই কথা শুনে অমল মজুমদার ওরফে মান্তুর দাদু উত্তর দিলেন- এমা তা কেন হবে । ওদের ভগবান তো অন্য তাই ওরা আমাদের পুজতে আসতে পারে না।
কথাটা শেষ করতে পারল না দাদু। দাদুর কথার ওপরেই কথা চাপিয়ে মান্তু বলল, তাহলে আমাদের ভগবান আমাদের কথা শোনে আর ওদের ভগবান ওদের কথা! ইস আমি যদি আগে জানতাম তাহলে তো আল্লা-র কাছের বলতাম যে ওকে যেন আমাদের পুজোয় ওর মা আসতে দেয়।
বাড়ি শুদ্ধ সবার মুখে এক প্রাগৈতিহাসিক দ্বন্ধের ছাপ পরে গেল।

কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।                মা কর্মফলহেতুভূমা তে সঙ্গোহস্ত্বকর্মণি৷৷
10/07/2025

কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।
মা কর্মফলহেতুভূমা তে সঙ্গোহস্ত্বকর্মণি৷৷

||আড় মাছের ঝোল ||আচ্ছা, আড় মাছের ঝোল খেলে কি আড়বাঁশি বাজানো যাবে? এই আড়বাঁশি বাজানো তো ফিজিক্সের ফর্মূলা মনে রাখার থে...
10/07/2025

||আড় মাছের ঝোল ||

আচ্ছা, আড় মাছের ঝোল খেলে কি আড়বাঁশি বাজানো যাবে? এই আড়বাঁশি বাজানো তো ফিজিক্সের ফর্মূলা মনে রাখার থেকেও কঠিন। কিন্তু বাউল হতে চাই আর আড়বাঁশি বাজাতে জানি না বললে, সমাজ কি আমায় মেনে নেবে! ধুর! মাথা তো নয় যেন অদ্ভুত থিংকিং-এর কারখানা।বাঁশির সাথে মাছের কি সম্পর্ক ! এই নাহ্ কালকে বোলপুর যাওয়া।" বলেই বাঁশিটা টেবিলের পাশে কোনো রকমে রেখে দিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল মুরালী।

না মুরালী বোলপুরে বৈরাগী হতে যাচ্ছে না ।বাবা মা কৃষ্ণপ্রেমে পড়ে ছেলের নাম দিয়েছিলেন মুরালী । কিন্তু সেই নাম নিয়ে ছেলে এখন দিব্য মাছ-মাংসের সেবক হয়ে উঠেছে। যার জন্য বেঁচে থাকা তার জাত বাছতে নেই।

পরের দিন রামপুরহাট লোকালটা নৈহাটি পেরিয়ে বোলপুরের দিকে যেতেই জানালার পাশের ছবিটা ইঁটকাঠ পাথরের লোকালয় ছেড়ে সবুজে মিশছে। মুরালী এক বনেদী মৎস্যের সাবেকী আস্বাদ নিতে উঠে বসেছে সেই ট্রেনে, শিয়ালদহ থেকেই। আনন্দদার মেয়ের জন্মদিনে অফিসের সবাই-এর আড় মাছের ঝোল খাওয়ার নিমন্ত্রণ বোলপুরে। আসলে এই মাছটা বেসিক্যালি খুব ইন্টারেস্টিং আর ওর ১০০ বছরের পুরোনো জমিদার বাড়িটাও। আড় মাছ দামে বেশি আর নামে কন্ট্রোভার্সি- ফ্রেশওয়াটার ক্যাটফিশ ,বেড়াল আর মাছ একসাথে।তবে ঘটি বাঙালের মার কাট যুদ্ধ এখানে নেই, ইনি গঙ্গার মতো দুদিকেই আছেন। আড়বাঁশিটা ব্যাগ থেকে বের করে মুরালী মনে মনে বলল -"আচ্ছা আড় করে বা কাত করে ধরে বাজানো হয় তাই আড়বাঁশি, এই মাছও কি তাহলে আড় করে ধরে‌ খেতে হবে? আমি ,আনন্দ দা রেডিও জকি হিসেবে একই চ্যানেলে কাজ করি, তাই আমাদের ভাইবস ও ম্যাচ করে। অজানা সাবেকী জিনিসের সাথে ইতিহাসের গন্ধ পেলে মাছির মতো ভনভন করা আমাদের স্বভাব।

(২)

একটা শাল পাতার থালায় ভাতের সাথে একফালি মাছ সমেত ঝোল এসে পড়তেই ভাতটাকে মুরালীর মনে হল লজ্জাবস্ত্রের আড়াল থেকে উঁকি মারা প্রথম সিঁদুরে রাঙা মুখ।

আনন্দ দা -খাও মুরালী এখনকার দিনে অথেন্টিক রান্না খেতে পাওয়াটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

মুরালী -সত্যিই তাই। এই ভেজালের যুগে একটা সৎ মানুষ পাওয়া কঠিন আবার অরিজিনাল রেসিপি! তবে বাংলা বিহার উড়িষ্যা । তিনটি রাজ্যেই আড় মাছের ঝোল কিন্তু হিট। কেউ ঝোর বলে আর কেউ বলে ঝোল এই যা পার্থক্য।

আনন্দ দা- মাছ একটা ইমোশন। হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর সময় থেকে মাছ খাচ্ছে মানুষ। আর SAARC-এর মতে ৬০০বি.সি থেকে ২০০এ.ডি সময়ের মধ্যে বাংলায় প্রায় ৮০% মানুষ Freshwater Catfish খেত, যাকে সরাসরি আড় না বলা গেলেও এখন এই নাম আড় মাছের জন্যই বরাদ্দ।

মুরালী-জানো ,আমরা ব্রাহ্মণ তাই আমাদের দেশের বাড়িতে মাংস ঢুকত না তাই মাসে একদিন করে আড় মাছ আনা হত আর রান্না করতেন ঠাকুমা। তবে ঠাকুমা মারা যাওয়ার পর আমরা এখানে চলে এলাম এরপর কলকাতাতে বহু জায়গায় খেয়েছি , উড়িষ্যাতেও খেয়েছি কিন্তু সেই স্বাদ পাইনি। আজকে প্রায় বারো-তের বছর পর সেই হুবহু পুরোনো স্বাদটা পেলাম, মনে হচ্ছে একদম আমার ঠাকুমার হাতের আড় মাছের‌ ঝোল।

আনন্দ দা - আসলে সংস্কৃতির খুব বড় একটা ঐতিহ্য হচ্ছে খাবার তাই আসলের স্বাদ হারিয়ে ফেললে সংস্কৃতি তার নিজস্বতা হারায়।

খেতে খেতে বেশ জমে উঠেছে চারপাশ আড় মাছের ঝোল সবার পাত রাঙিয়ে তুলেছে। বোস বাড়ির চওড়া দালানে কলকাতার গন্ধ লাগা মানুষের মুখে ফুলের মতো তৃপ্তি ফুটে উঠছে।

|| চিলি চিকেন ||-অসময়ে এইসব খাস না, বার বার বলি তাও শুনবি না তো!-তুই চুপ থাক , এই জন্য সবাই বলে বেশি বয়সের লোকের সাথে ...
06/07/2025

|| চিলি চিকেন ||

-অসময়ে এইসব খাস না, বার বার বলি তাও শুনবি না তো!
-তুই চুপ থাক , এই জন্য সবাই বলে বেশি বয়সের লোকের সাথে প্রেম করতে নেই।
-তুই আবার আমার বয়সের খোঁটা টা দিলি!
-বেশ করেছি আমার চিলি চিকেনের বদনাম যতবার করবি ততবার দেব।
-হ্যাঁ খাও, চিনা শাকচুন্নি হবি মরলে।
-এই মূর্খটা শোন চিলি চিকেনের জন্ম কোথায় জানিস?
-কোথায় আবার চিনে।
-আজ্ঞে না এটা প্রপার কলকাতার রেসিপি চাঁদু। শুধু ফিজিক্সের থিওরি পড়লে হবে ! একটু হিস্ট্রি কালচারেও পদাপর্ণ করুন।
-ফালতু বাংলাখোরদের মতো বকিস না চাইনিজ ডিস কীভাবে কলকাতার হয়?
-সাধে তোর নাম মূর্খ দিয়েছি রে ! শোন ট্যানারি শ্রমিকরা যখন কলকাতায় থাকতে শুরু করে তখন ১৮ শতক, ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রাজত্বকাল আর স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার নাম ছিল ক্যালকাটা। তাই ক্যালকাটার ওপর দিয়ে ব্রিটেনে যেত রেশম, চা এইসব।
-হ্যাঁ তা তো জানি তখন কলকাতা রাজধানী। আর এই ব্যবসা সূত্রেই তো জাঁকিয়ে বসল কয়েকদল চিনা ব্যবসায়ী । রেশম,জুতো সেলাই, ডেন্টিস্ট এইসব কাজকর্ম করত কিন্তু এর সাথে চিলি চিকেন কোথা থেকে এলো? ওরা কি রেশমের তলায় চিলি চিকেনকে চাপা দিয়ে এনে নেশা করত?
-আরে লাভলি! এই জন্যই তো তুমি আমার.... যাকগে ছাড়..
-হ্যাঁ হ্যাঁ আমার সাহসী লক্ষ্মীবাঈ এখানেই তো কেঁচো।
- এই আসল কথাটা শুনবি?
- যে আজ্ঞে জাঁহাপনা ।
- এই যে চিনের লোকগুলো এসে বসতি স্থাপন করল এরা বেসিক্যালি নিজেদের সংস্কৃতি আর খাবার বজায় রাখার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাতে লাগল। আস্তে আস্তে রেঁস্তোরা হল প্রথমে চিনারাই খেত তারপর আমাদের ফুডলাভার ভারতীয়রাও খেতে শুরু করল।১৯২৪ এ প্রথম জমিয়ে একখানা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হল। তারপর কলকাতা তথা সমগ্র ভারতীয়রা চাইনিজের প্রেমে পরে গেল। খুলে গেল ঝাঁক ঝাঁক রেস্টুরেন্ট যাতায়াত বাড়ল প্রত্যেকের শিল্পপতি , সেলিব্রেটি বাদ রইল না কেউ ।এরপর ধীরে ধীরে যোগ হল ভারতীয় মশলা , মুরগির মাংস আহা পুরো জমে ক্ষীর হয়ে গেল। তারপর ঠিক তারপরেই কলকাতার মাটিতে আবিষ্কার হল সয়া স্যস, লঙ্কা, চিকেন আর গরম মশলা দিয়ে এই যুগান্তকারী দ্রব্যটির আর তার নাম হল - ঝাল চিলি চিকেন মানে চিলি চিকেন।
- আরে লোকে দেখছে তুই প্লেটটা নীচে নামা। মান ইজ্জত আর কিছু রাখলি না।
- ও তোর মান ইজ্জত যে চিলি চিকেনের প্লেটের নীচে ছিল সে আমি কি করে জানবো!
- আচ্ছা আমার ঘাট হয়েছে এই হাতজোড় করলাম। নে এবার খা ।
- তথাস্তু বৎস।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

শুভ রথযাত্রা...
27/06/2025

শুভ রথযাত্রা...

|| ভেজ মাঞ্চুরিয়ান।। "শোনো আমি পরিস্কার একটা কথা বলে দিচ্ছি ঐ চিনা-মিনা খাবার আমার বাড়িতে হবে না। তুমি অন্য জাতীর ছেলে...
14/05/2025

|| ভেজ মাঞ্চুরিয়ান।।

"শোনো আমি পরিস্কার একটা কথা বলে দিচ্ছি ঐ চিনা-মিনা খাবার আমার বাড়িতে হবে না। তুমি অন্য জাতীর ছেলেকে বিয়ে করছ আমি মেনে নিয়েছি , তোমার ইচ্ছে মতো সবকিছু তুমি চাপিয়ে দেবে নাকি!আমরা বাঙালি , আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য আছে, সাবেকিয়ানা আছে এসবের বাইরে গিয়ে তোমাদের এই পাশ্চাত্য আধুনিকতার স্রোতে গা ভাসাতে আমি পারব না।"
-"তাহলে জেনে রেখো আমিও তোমার মেয়ে, তুমি আমায় যে আদর্শে বড়ো করেছ তাতে আমার যে বিচার বুদ্ধি তৈরি হয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে এই গোঁড়ামি আমিও মেনে নেব না। ", বলেই মুখ ঘুরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেল রাজনন্দিনী।
নিচের বড় বারান্দায় পাইচারি করতে করতে ছোট ভগিনীপতীকে উদ্দেশ্য করে বললেন চন্দনবাবু,
-আচ্ছা বাংলায় কি আইটেম কম পড়েছে‌! এত লাফালাফি কিসের এই মাঞ্চুরিয়ান নিয়ে বলোতো? তুমি কখনো মাঞ্চুরিয়ান খেয়েছ?
-হ্যাঁ খেয়েছি, অসম্ভব ভালো খেতে। আসলে জামাইবাবু কিছু আইটেমের সঙ্গে কিছু আইটেম ভালো যায়।
-থামো তো ঐ তো ডালের বড়ার মতো জিনিস । বিয়েবাড়িতে কেউ ঐসব খাওয়ায় মানুষকে আমাদের একটা আভিজাত্য নেই?
-জামাইবাবু মাঞ্চুরিয়ানের অভিজাত্য কিন্তু কম নয়।
-কিসের আভিজাত্য! চাইনিজ প্রোডাক্টের আবার আভিজাত্য!
-আচ্ছা আপনার ১৯৭৫ সালটা মনে আছে?
-হ্যাঁ থাকবে না ! বঙ্গবন্ধুর হত্যা, জরুরী অবস্থার শুরু ।সে কি অবস্থা! ইন্দিরা গান্ধীকে সবাই তখন সমালোচনা করেছিল।
-হ্যাঁ আর MCA-এর ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট ম্যাচ!
-রাইট India vs Westindies। হেরে যাওয়াগুলো মনে বড্ড গেঁথে যায় গো।
-তারপর ঐ স্টেডিয়ামেই রবীশাস্ত্রীর এক ওভারে ছ'টা ছক্কা।
-হ্যাঁ বরোদার সাথে রঞ্জি ট্রফি।
-জানেন এই মাঞ্চুরিয়ানের জন্ম কিন্তু মুম্বাই ক্রিকেট ক্লাবে।
-বলো‌ কি! এটা চায়নার নয়!
-নেলসন ওয়াং নামে একটি চিনা বংশোদ্ভূত ছেলে কিন্তু তার জন্ম ভারতের মাটিতেই। ওরই বানানো এটা। ভারতবর্ষকে তো 'মহামিলনের ক্ষেত্র' বলা হয় এইজন্যই আর বাংলা ভাষার সঙ্গে ভারতবর্ষের সবথেকে বড় মিলও কিন্তু এখানেই , সে যে সব কিছু অ্যাডপ্ট করে নেয়। সেই জন্য দেখুন আমরা এখন প্যান্ট শার্ট পড়ি, রেলগাড়ি চড়ি, এমনকি যে বাংলায় কথা বলি তার মধ্যে কত ভাষা মিলে মিশে একাকার হয়েছে, সেরকম রান্নাতেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রভাব পড়েছে, আমরা কিন্তু সেই সব কিছুকেই বুকে করে আগলেছি।
-বিকজ্ উই আর লভ টু লিভ ইন নস্টালজিয়া।
-এক্সাক্টলি। সেরকমই ভারতে জন্মানো নেলসন ওয়াং মুম্বাই ক্রিকেট ক্লাবে সেফ-এর চাকরি করতে গিয়ে ১৯৭৫ -এ একদিন কাস্টমারের চাহিদায় ভারতীয় মশলায়, ঐ রসুন, আদা, কাঁচা লঙ্কা আর গরম মশলার সাথে চিকেন দিয়ে তৈরী করেছিল চিকেন মাঞ্চুরিয়ান ।
-বাহ দারুণ তো কিন্তু বাড়িতে যে আমার মহিষাসুরমর্দিনীর বিগ্রহ আছে, সেই বাড়িতে‌ মুরগির মাংস ঢোকাবো! একমাত্র মেয়ে আমার ভীষণ যত্ন করে ওকে বড় করেছি জানো, ও কি খেতে ভালোবাসে, কি জামা পরতে পছন্দ করে , কোন রঙটা ওর ভালোলাগে, হসপিটালে যখন প্রথম আমার হাতে ওকে দিল তার আগে আমি কখনো বাচ্ছা কোলে নিইনি একটা ছোট্ট পুতুলের মতো বাচ্ছা আমার দিকে চেয়ে আছে, তারপর ও প্রথম সলিড খাবার খেল, কথা বলল, আমার স্বপ্নের মতো ওকে ঘিরে সাজানো দিনগুলো কেমন হুশ করে চলে গেল ও বড় হয়ে গেল, বিয়ের সময়ও হয়ে গেল এবার ওর এই বাড়ি আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় আর এই চলে যাওয়ার সময় ওর একটা ইচ্ছে রাখব না !
-কি‌ সব বলছেন জামাইবাবু বিয়ে দিলে কি মেয়ে পর হয়ে যায় নাকি ! এখন আর এসব আছে!
চোখ ভর্তি জল নিয়ে চেয়ারে বসে থাকা চন্দনবাবুকে পিছন থেকে দুটো হাত গলা জড়িয়ে ধরে নরম গলায় বলল - ও বাবা! উত্তর-পূর্ব চিনের একটি অংশ মাঞ্চুরিয়া তার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঞ্চুরিয়ান বলে। তাদের ঐ মাঞ্চু রন্ধনশৈলীতে এটা তৈরী তাই এর নাম মাঞ্চুরিয়ান।
- বাবারে! তুই তো দেখছি রিসার্চ করে‌ ফেলেছিস। চোখের জল লুকিয়ে ফেলে বললেন চন্দনবাবু
- হ্যাঁ আমি তো জানি তোমাকে এসব বোঝাতে হবে তাই আগে থেকে একটু পড়াশোনা করে নিয়েছি। আর যাই করো আমাকে কিন্তু গৃহছাড়া করা চলবে না আমি এতদিন একটা বাড়ির দায়িত্ব নিয়েছি এখন আরেকটার নেব একটু বড় হয়ে গেছি তো তাই। তবে আমার বাবার দায়িত্ব আমি কাউকে দেব না।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

||পেঁপে দিয়ে ছোলার ডালের বড়ার তরকারি||পেঁপে আর ছোলার ডালের প্রথম দেখা হয়েছিল বাজারের এক কোণে। পেঁপে তখনো কাঁচা, একেবার...
28/03/2025

||পেঁপে দিয়ে ছোলার ডালের বড়ার তরকারি||

পেঁপে আর ছোলার ডালের প্রথম দেখা হয়েছিল বাজারের এক কোণে। পেঁপে তখনো কাঁচা, একেবারে সবুজ, কিন্তু তাতে কী? তার চেহারায় ছিল একরকম সতেজ ঔজ্জ্বল্য। আর ছোলার ডাল? ছোট্ট ছোট্ট, মিষ্টি হলুদাভ, ফর্সা, একটু গোলগাল—এক কথায় কিউট!

পেঁপে লাজুক, কথা বেশি বলে না। আর ছোলার ডাল? সে একটু বেশি চঞ্চল, তেলতেলে হাসি দিয়ে পেঁপের দিকে তাকায়।

একদিন রান্নাঘরে দুজনের আবার দেখা হল। ছোলার ডাল তখন জলে ভিজে একদম নরম, কোমল। পেঁপে অবাক হয়ে বলল,
"বাহ! একটু আগেও তো একদম শক্ত ছিলে, এখন এত নরম হয়ে গেলে কী করে?"
ছোলার ডাল হেসে বলল,
"না গো, আমি তোমার সঙ্গে মিশতে চাই, তাই নিজেকে একটু গলিয়ে নিলাম!"
পেঁপে একটু লজ্জা পেল, কিন্তু কিছু বলল না।

এরপর এল সেই বিশেষ মুহূর্ত—ভেজানো ছোলার সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা বাটা হলো, যেন সে নিজের সারা শরীর দিয়ে পেঁপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে! ঝাঁঝালো লঙ্কার ছোঁয়ায় ছোলার ডালের মনে যেন এক অজানা উত্তেজনা। এরপর তেলে ভাজা হলো। পেঁপে অবাক হয়ে দেখল, ছোলার ডাল এখন সোনার মতো ঝলমল করছে!

এদিকে রান্নাঘরে তখন শুরু হয়েছে এক নতুন পর্ব। গরম তেলে জিরে ফোড়ন দেওয়া হলো, আর তার সঙ্গে যোগ হলো আলু আর সবুজ পেঁপে। ফোড়নের গন্ধে পুরো রান্নাঘর যেন এক নিমেষে অন্যরকম হয়ে গেল—এ এক বিশেষ আয়োজন!

আলু আর পেঁপে তখনো একটু শক্ত, একটু গম্ভীর। কিন্তু তেল আর মশলার আদরে তারা ধীরে ধীরে নরম হতে লাগল। এর মধ্যেই আদা বাটা আর জিরে গুঁড়োর ছোঁয়া লাগল, যেন নতুন জীবনে প্রবেশের জন্য তারা প্রস্তুত হচ্ছে!

এরপর এল সেই মহেন্দ্রক্ষণ—ছোলার বড়া ঝোলে নামল! নতুন বউয়ের মতো সেজে উঠেছিল সে, আর এবার স্বামীর সঙ্গে মিশে একাকার হবে। ঝোলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সে পেঁপের সঙ্গ নিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরল।

ঝোলের মশলা, আদার উষ্ণতা আর জিরের মৃদু সুবাসে তারা এক নতুন স্বাদ সৃষ্টি করল—যেখানে প্রেম আর মাধুর্য একসঙ্গে মিশে গেল।

খেতে বসে সবাই বলল,
এটা শুধু একটা রান্না না, এটা এক নতুন জীবনের শুরু!

"তুমি কোন্‌ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে।
আমার ভাঙল যা তা ধন্য হল চরণপাতে॥"

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

|| এঁচোড়ের কোফতা।।"কুঁজোর ইচ্চে হয়েচে চিৎ হয়ে শোবার। বেধবা মানুষের আবার জীভ কী? দুটো পেটে দিলেই হল, তা নয় কোপ্তা কাল...
26/03/2025

|| এঁচোড়ের কোফতা।।

"কুঁজোর ইচ্চে হয়েচে চিৎ হয়ে শোবার। বেধবা মানুষের আবার জীভ কী? দুটো পেটে দিলেই হল, তা নয় কোপ্তা কালিয়া খাবেন উনি। স্বামীটাকে খেয়েও তো পেটের ক্ষিদে যায়নি, যত্তসব মেলচ্ছপনা।", ঠাকুর ঘর থেকে ধুনোর ধোঁয়া ঘরে দিতে দিতেই মুখে বুলি আওড়ে যাচ্ছেন নিতু ঠাকুরঝি ওরফে নিস্তারিণী চাটুজ্জে। বৈধব্য জীবনের আমার পনেরো বছর পার হয়েছে , তাই স্বামীর কথায় যে আজও আমার প্রাণ কেঁদে ওঠে এমনটা নয় আর ঠাকুরঝির কথা আমার‌ গায়ের চামড়া মানুষ থেকে লোহার চাদরে পরিণত করেছে। তবে মনে পড়ে তাঁকে , ঐ সুঠামদেহ পুরুষটি সেইসময়ও নারী শিক্ষা নিয়ে বেশ লম্বা লম্বা লেখা লিখতেন খবরের কাগজে, আমার অক্ষর জ্ঞান ও ওনার হাত ধরেই। মনে পড়ে তার অভিনব খাদ্যরসের কথা। ভারতীয় ছাড়া আরও সমগ্র পৃথিবীর খাবার নিয়ে তাঁর কৌতুহল। জাতিভেদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই এই সমস্ত নিয়েই সকলে তাঁকে আধুনিক মানুষ বলত। বিয়ের পর পরই ব্যবসা সূত্রে মধ্য এশিয়া থেকে জাহাজে ফিরছিলেন, এমন সময় এক গ্রীসের রাঁধুনীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁকে নিয়ে এসে তোলেন বাড়িতে। বাড়ি ভর্তি লোকের চোখ এড়িয়ে আমার দেখা প্রথম বামুন বাড়িতে শূকরের মাংসের কোপ্তা নামক একটি রান্না করেন ঐ রাঁধুনী । আসলে কোপ্তা বা কোফতা শব্দটি এসেছে শাস্ত্রীয় ফার্সি kōfta যার অর্থ পেষণ। কোফতা তৈরীর জন্য যে মাংসের বল প্রয়োজন তার জন্য মাংস চটকে নেওয়া হয়। সেজন্যেই এমন নাম। তখন আমি সদবা হলেও এই নিতু ঠাকুরঝি দায়িত্ব নিয়ে পরপুরুষের নাগাল থেকে আমাকে আড়াল করে রাখতেন ।তবে রান্নার ভুত মাথায় থাকায় কর্তামশাইকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিলুম পদ্ধতিখানা। এরপর আমার কর্তামশাই-এর মুখে বহুবার এই কোপ্তার সুনাম শুনেছি , না পাওয়ার আক্ষেপ ও শুনেছি কিন্তু তাঁকে জীব্বদশায় নিজে হাতে তৈরী করে খাওয়াতে পারিনি। আমার ছোট্ট নাতনিটি গত পরশু আমার মনের এই কাটা দাগটায় আরেকটু ঠোকা মেরে না দিলে হয়তো আজও এই পারুলকে নিয়ে কেউ সাজিয়ে বসে লিখত না এই কথাগুলো।

পরশু দুপুরে 'মরণের পারে' বইটি পড়ছি একমনে, এমন সময় নাতনি এসে গলা জড়িয়ে ধরে বলল- "ও দিদুন দাদুনের বার্থডেতে তুমি দাদুনকে কী দেবে?" বড় হাসি পেল কথাটা শুনে বেঁচে থাকাকালীন মানুষটাকে‌ কখনও কিছু চাইতে দেখিনি , সবাইকে শুধু দিয়েই গেছেন আর বিনাময়ে পেয়েছেন অবহেলা আর অবহেলা। যে দেয় তার ভাগ্যে সত্যিই কখনো কিছু জোটেনা। আবার ছোট্ট মিতিন আমাকে নাড়া দিয়ে বলল-" বলো না কী করা যায় দাদুনের বার্থডে তে ? আচ্ছা একটা স্পেশাল রান্না করো তুমি প্লিজ কালকে।" ওকে একটা আদুরে চুমু খেয়ে বললাম- "আচ্ছা বেশ।"
যাইহোক কথা অনেক হয়ে গেল আমার মতো সামান্য এক‌ বিধবার বস্তাপচা জীবন কাহিনী শুনে আপনাদের আর কি লাভ বলুন তো ওদিকে সব খেতে বসবে যাই খেতে দি।

রেললাইনের মতো লম্বা বারান্দা জুড়ে সাদা চটের ওপরে গোটা কুড়িক লোক খেতে বসেছে , কারো গায়ে গামছা, কারো গায়ে ধুলো লাগা কালচে ধুতি সবাই কলাপাতা চেটে খাচ্ছে মাথা হেঁট করে আর গুঞ্জন উঠছে সমগ্র চাটুজ্জে বাড়ি জুড়ে -" ঠাগমার হাতে জাদু আছে, আহা এমন কোফতা জীবনে খাইনি।

সিঁড়িতে সিলভারের বালতি ভর্তি এঁচোড়ের কোফতা হাতে দাঁড়িয়ে ৫০ উর্দ্ধো বিধবা পারুলবালা দেবী। আসলে দিলদরিয়া মানুষ ছিলেন রাজশেখর বাবু তিনি খেতে যেমন ভালোবাসতেন তেমন খাওয়াতেও। তাই একটা শুভ জন্মদিনে মাংসের কোফতা পরিবর্তিত হল এক বিধবার হাতের এঁচোড়ের কোফতায়। সিন্ধুকে ধুলো পড়া ঐ প্রাচীন পদ্ধতিতে তৈরি হল গাছপাঁঠার কোফতা।
এখন এঁচোড়ের সময় এসেছে। ঝটপট বানিয়ে ফেলুন এঁচোড়ের কোফতা। আপনারা কেউ কি খেয়েছেন এঁচোড়ের কোফতা? আমাদের জানান।

আমরা নতুন এক বিষয় সংযোজন করেছি আমাদের পেজে। আমাদের রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে লিখুন। আমরা দিয়ে দেব সম্পূর্ণ রিসিপি।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

||মাটন ডাকবাংলো||"রানার ছুটেছে তাই ঝুম্‌ঝুম্ ঘণ্টা বাজছে রাতেরানার চলেছে, খবরের বোঝা হাতে,রানার চলেছে রানার!"সলিল চৌধুরী...
28/02/2025

||মাটন ডাকবাংলো||

"রানার ছুটেছে তাই ঝুম্‌ঝুম্ ঘণ্টা বাজছে রাতে
রানার চলেছে, খবরের বোঝা হাতে,
রানার চলেছে রানার!"
সলিল চৌধুরীর সেই বিখ্যাত গান যা হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গেয়ে অমর করেছিলেন- জানেন কি? গানটির কাদের নিতে লেখা?
ব্রিটিশ শাসনরত ভারতবর্ষে ডাক ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিল ঘোড়া। তাই কেউ চিঠি পাঠালে ডাক কর্মচারি সেই চিঠি নিয়ে ঘোড়ায় করে যেতেন এবং তার গন্তব্যে পৌছে দিতেন।
প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এবং অনেক জায়গাতেই ঘোড়াও ছিল না তাই কিছু ডাক কর্মী চিঠি নিয়ে দৌড়ে গিয়ে সেই চিঠি গন্তব্যে পৌঁছে দিত। এদের রানার বলা হত। ভাবুন একটা সময় এমনও ছিল আপনি চিঠি লিখলেন সেটা কেউ হাতে করে নিয়ে দৌঁড়ে গিয়ে পৌঁছাত।
এই ডাকের অনেক সময় অনেক দুর দুরান্তে গন্তব্য হতো তাই ডাক কর্মীদের বিশ্রাম ও নিশিযাপনের জন্য অনেক সরাইখানা তৈরী হয়েছিল। এই ধরনের সরাইখানাকে বলা হতো ডাকবাংলো। (এখন যেমন অফিসার্স গেষ্ট হাউজ হয়- যা মূলত ডাক কর্মীদের জন্য হলেও সে সময়ের অনেক সরকারি কর্মচারীরা সেখানে বসবাস করতেন। )
এই ডাকবাংলোগুলো শহর থেকে দূরে এবং নির্জন জায়গায় হতো, এবং এই ধরনের বাংলো দেখাশোনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন মাত্র মানুষ থাকতো। তিনি রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সবরকম কাজ করতেন।
দিনে রাতে যখন তখন ডাক কর্মীদের আসা যাওয়া লেগেই থাকতো এবং কখন কতজন এসে উপস্থিত হয় সেটা বোঝা বা জানার কোনও মাধ্যম ছিল না। তাই অনেক সময় মাংস রান্না হচ্ছে- এমন সময় আরও কিছু ডাক কর্মী এসে হাজির ;তাই সেই মাংসতেই কিছু ডিম দিয়ে দেওয়া হলো। এইভাবে সৃষ্টি হয় এক বিখ্যাত পদ, মাটন ডাকবাংলো।
বড়ো বড়ো ডাকবাংলো গুলোতে কিছু বড়ো অফিসার তার দলবল সহ একাধিক খানসামাদের সাথে বসবাস করতেন। তারা এই পদটিকে নিয়ে তাদের হাতে আরও সুন্দর করে তোলেন।
এই পদটির বৈশিষ্ট্য হলো এইটিতে ভারতীয় মশলা যেমন হলুদ, গরম মশলা, শুকনো লঙ্কার ব্যবহার দেখা যায়, অন্যদিকে আলু সেদ্ধ, ডিম সেদ্ধ এইসব ব্রিটিশ রন্দনশৈলীর প্রভাব পাওয়া যায়।
মাটন ডাকবাংলো ভাতের সাথে, রুটির সাথে এমনকি পাউরুটির সাথেও খাওয়া যায়। তাই এই পদ পূর্ব ও পশ্চিমের খাদশৈলীর এক দুর্দান্ত যুগলবন্দী হিসাবে পরিগণিত হয়।
ডাকবাংলোর সাথে আর একটা বিষয় খুব জড়িত যেটা না বললেই নয়। কিছু কিছু ডাকবাংলো ব্যস্ততম জায়গায় হলেও বেশিরভাগই ছিল শহরের বাইরে, নির্জন জায়গায়। রাতের অন্ধকারে নির্জন জায়গায় একটি মাত্র মানুষ(বাড়ির রক্ষক) থাকা একটি বাড়ি এমনিতেই এক রহস্যময় ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করে। তাই এই ডাকবাংলোগুলোকে ঘিরে নানান অলৌকিক ও ভুতুড়ে ঘটনার কথা শোনা যায়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি অনেক ডাকবাংলো দার্জিলিং ও কালিম্পং-তে আজও আছে যা বিভিন্ন আলৌকিক ঘটনার জন্য বিখ্যাত।
মাটন ডাকবাংলো বাড়ীতে বানিয়ে খেতেই পারেন- অসাধারন স্বাদ।
কিন্তু মাটন ডাকবাংলোর আসল স্বাদ পাবেন দার্জিলিং এর কোনো নিভৃত নির্জন ভুতুড়ে ডাকবাংলোতে রাতের অন্ধকারে- চেষ্টা করবেন নাকি? কেউ এইরকম ডাকবাংলোর ঠিকানা চাইলে আমায় কমেন্টে জানান, আমি গোটাকতক ঠিকানা দিয়ে দেবো।

Happy Republic Day 2025!🙂
26/01/2025

Happy Republic Day 2025!
🙂

Address

Shanti Niketan

Telephone

+919674008262

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gharoa Caterer posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Gharoa Caterer:

Share

Category