28/04/2025
"মধ্যপ্রাচ্যের Transportation LLC" কী ধরনের কোম্পানি?
সকল vip পরিবহন (transportation) কোম্পানি, প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরাতে (UAE) কাজ করে তাছাড়া কাতার ও সৌদিআরবেও তারা ব্যবসা পরিচালনা করে ।
তারা ভি আই পি প্রাইভেট কার, বাস, ভ্যান, মিনিবাস বা কোস্টার সার্ভিস দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (যেমন এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার, লোকাল ট্রান্সফার, স্কুল, অফিস, ট্যুরিস্ট গ্রুপ ইত্যাদি) এর জন্য যাত্রী পরিবহন করে।
এরা ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট গ্রাহকদের সাথে চুক্তিভিত্তিক (contract-based) পরিষেবা দেয়, কখনো কখনো ঘন্টা, দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতেও।
---
তারা কিভাবে যাত্রী বা ক্লায়েন্ট খুঁজে পায়?
১. কর্পোরেট চুক্তি (B2B মার্কেটিং):
বিভিন্ন অফিস, স্কুল, কলেজ, কারখানা বা হোটেলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে।
তারা মাসিক বা বাৎসরিক পরিবহন সেবা দেয়ার জন্য চুক্তি করে নেয়।
২. অনলাইন প্রচারণা:
নিজস্ব ওয়েবসাইটে সার্ভিসের বিস্তারিত তুলে ধরে।
গুগল, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন মার্কেটিং করে।
অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন গ্রাহক টেনে আনে।
3. রেফারেন্স এবং নেটওয়ার্কিং:
বিদ্যমান গ্রাহকের মাধ্যমে নতুন ক্লায়েন্ট খুঁজে নেয় (referral system)।
অন্যান্য ব্যবসা সম্মেলন বা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
৪. বিশেষ অফার:
নতুন চুক্তিতে ডিসকাউন্ট বা ফ্রি ট্রায়াল অফার করে।
---
তারা কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে?
১. নিজস্ব বা ভাড়ায় নেয়া যানবাহন:
তাদের নিজস্ব বাস, মিনিবাস থাকে অথবা কিছু গাড়ি লিজ নেয়।
নিয়মিত গাড়ির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে (maintenance খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
২. ড্রাইভার ম্যানেজমেন্ট:
লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষিত ড্রাইভার নিয়োগ করে।
ড্রাইভারদের সময়ানুবর্তিতা, আচরণ ও নিরাপত্তা নিয়ম শেখানো হয়।
৩. রুট এবং সময় নির্ধারণ:
নির্দিষ্ট রুট ও টাইমিং অনুযায়ী শিডিউল তৈরি করে।
সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে শিডিউল ম্যানেজ করে (যেমন GPS tracking)।
৪. চুক্তি ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম:
মাসিক বা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিলিং করে।
অনলাইন পেমেন্ট অপশনও রাখে (bank transfer, mobile banking ইত্যাদি)।
৫. সার্ভিস কোয়ালিটি মনিটরিং:
যাত্রীদের ফিডব্যাক নেয়।
সার্ভিস ইম্প্রুভ করার জন্য নিয়মিত পর্যালোচনা করে।
---
বাংলাদেশে শুরু করতে চাইলে করণীয়:
১. লাইসেন্স ও অনুমোদন নিন:
বিআরটিএ (BRTA) থেকে বাণিজ্যিক পরিবহন লাইসেন্স নিতে হবে।
কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন (RJSC) সম্পন্ন করতে হবে।
২. সঠিক যানবাহন বাছাই করুন:
বাস/মিনিবাস/কোস্টার কিনুন বা লিজ নিন।
যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিন।
৩. টার্গেট মার্কেট ঠিক করুন:
অফিস ট্রান্সপোর্ট, স্কুল বাস সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পরিবহন - কোন সেগমেন্টে কাজ করবেন সেটা ঠিক করুন।
৪. অনলাইন ও অফলাইন মার্কেটিং করুন:
ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
স্থানীয় অফিস, স্কুলে সরাসরি প্রপোজাল পাঠান।
৫. ড্রাইভার ও ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করুন:
দক্ষ ড্রাইভার ও একটি অপারেশন টিম নিয়োগ করুন।
৬. GPS ট্র্যাকিং ও সফটওয়্যার সাপোর্ট ব্যবহার করুন:
যানবাহনগুলো মনিটর করতে GPS ব্যবহার করুন।
স্মার্টফোন অ্যাপ বা ড্যাশবোর্ড তৈরি করলে গ্রাহকরা আপনাকে বেশি পছন্দ করবে।