03/02/2024
৪৩ দিনের বিপিএলে ১৯ দিনের ছুটি, কিন্তু কেনো?
বিপিএল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। তবে এবারের সবচেয়ে বড় অভিযোগটা হয়তো সূচি নিয়ে করা যায়। ৪৩ দিনের ৪৬ ম্যাচের সূচি করা হয়েছে। অথচ এর মধ্যে ১৯ দিনেই কোনো খেলা নেই। আবার যেদিন খেলা আছে সেদিন দুইটার নিচে নেই। পারলে যেনো কোয়ালিফায়ার রাউন্ডেও ডাবল ম্যাচ রাখতেন।
অথচ পাশের দেশ আইপিএলেই কি দারুন সূচি করা হয়। শুধুমাত্র ছুটির দুদিনে ডাবল ম্যাচ রাখা হয়, আর এমনিতে প্রতিদিন এক ম্যাচ। ভাবছেন, এতে বিপিএল শেষ হতে দুমাস লাগবে? এই ভাবনাটা ভূল, কারন ছুটির দিন ছাড়া সিংগেল ম্যাচ দিলে এই যে ১৯ দিনের অহেতুক ম্যাচ অফ, এই অফ ডে টা দরকার পড়বে না। এমনকি ভেন্যু পরিবর্তন হলেও অফ ডে দরকার হবেনা।
ধরেন ৪৬ ম্যাচের টুর্নামেন্ট, এই ম্যাচগুলো শেষ করতে তো ৪০ দিনই যতেষ্ট। প্রতিদিন একটা করে ম্যাচ ধরেন, আর সপ্তাহে দুদিন ২টা করে ধরেন। এভাবে ৪০ দিনও লাগবে না, তবে কোয়ালিফায়ারের মধ্যে ২/৩দিন গ্যাপসহ ৪০ দিন ধরলাম। এভাবে করা গেলে মাঠে আরো দর্শক যেতে পারবে। মিডিয়া হাউজগুলোরও নিউজ কভারে সুবিধা হবে। কখনো জোর করে ডাবল ম্যাচ খাওয়ানো, কখনো একদম না খাইয়ে রাখা- দর্শকের মধ্য থেকে এই ধরনের বোরিংনেসও কেটে যাবে।
জানি এভাবে বিপিএল আয়োজনে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। বিশেষ করে আজকে ঢাকা, কালকে সিলেট ম্যাচ আয়োজনে ব্রডকাস্টিংয়ে জনবল বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে টেকনোলজি। কিন্তু এতে করে যে বেটার রেজাল্টের সম্ভাবনাও রয়েছে। আর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের সাথে খুলনা ও রাজশাহী ভেন্যু এড করা গেলে কি দারুন ই না হবে। খুলনা, রাজশাহীতে হোটেলের কাজ চলছে, দ্রুতই ম্যানেজ হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিপিএলকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া, এর মাধ্যমে মোটা অংকের লাভ করা খুবই সহজ হতে পারে। তবে কেনো জানি না, ছোট ছোট প্রতিবন্ধিকতার কারনে বড় ধরনের সুযোগ হাত ছাড়া করছি আমরা....